ইতিহাস আর প্রতিশোধের দোলাচলে সেরেনা
আর একটা জয় চাই সেরেনা উইলিয়ামসের। তাহলেই ইতিহাস গড়ার পাশাপাশি হয়ে যাবে ‘প্রতিশোধ’। আজ উইম্বলডনের ফাইনালে অ্যাঞ্জেলিক কেরবারকে হারাতে পারলে দুটো লক্ষ্যই পূরণ হবে সেরেনার।
গত জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে কেরবারের কাছে হার মেনেছিলেন উইলিয়ামস পরিবারের ছোট মেয়ে। সেদিন জিতলেই ২২তম গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার আনন্দে মেতে উঠে জার্মান কিংবদন্তি স্টেফি গ্রাফের পাশে দাঁড়াতে পারতেন সেরেনা। কিন্তু তা হয়নি। নারী টেনিস খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের তালিকায় তৃতীয় স্থান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে মার্কিন তারকাকে। অস্ট্রেলিয়ার মার্গারেট কোর্ট (২৪) আর গ্রাফের (২২) পেছনে থাকা সেরেনার শিরোপার সংখ্যা ২১টি।
গত মাসে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালেও উঠেছিলেন সেরেনা। কিন্তু গার্বিনে মুগুরুজার কাছে হেরে যাওয়ায় আবারো হতাশ হতে হয়েছিল তাঁকে। সেরেনাকে অবশ্য বেশি পোড়াচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ব্যর্থতা। ওই হারের পর কেরবারের আর মুখোমুখি হননি। এখন তাই ছয় মাস আগের হারের প্রতিশোধ নেওয়ার প্রত্যয় তাঁর কণ্ঠে, ‘অস্ট্রেলিয়াতে তার কাছে আমার হার অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেটাই আমাদের সর্বশেষ লড়াই ছিল। ওই ম্যাচে আমি অনেক ভুল করেছিলাম। উল্টোদিকে সে কম ভুল করেছিল। সেদিন সে দুর্দান্ত খেলেছিল। আর নির্ভীক হয়ে খেলেছিল।’
অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে থাকলেও কেরবারের কাছে ওই হারের শিক্ষা নিয়ে আজ জ্বলে উঠতে চান সেরেনা, ‘উইম্বলডনের ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার সময় আমাকেও তার মতো নির্ভীক হতে হবে। আমাকে নিজের খেলার আরো অনেক উন্নতি ঘটাতে হবে।’
প্রায় ১৩ বছরের পেশাদার ক্যারিয়ার হলেও কেরবারের এটা মাত্র দ্বিতীয় গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল। প্রথমবার অর্থাৎ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে বাজিমাত করেছিলেন। টেনিসের সবচেয়ে মর্যাদার টুর্নামেন্ট উইম্বলডনের শিরোপা লড়াইয়ের আগে তিনি যথেষ্ট নির্ভার, ‘আমি নিজেকে বলেছি যে বড় টুর্নামেন্টগুলোতে আমার আরো ভালো খেলা দরকার। অস্ট্রেলিয়ায় সাফল্যের পর আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে। অবশ্য এ ধরনের টুর্নামেন্টে আগের চেয়ে কিছুটা নির্ভারও থাকি এখন। নিজের খেলার ওপর আমার যথেষ্ট আস্থা আছে।’