দ্বিশতক করে ইতিহাসের পাতায় কোহলি
অ্যান্টিগা টেস্ট শুরু হওয়ার তিন দিন আগের কথা। ভারতীয় দলের হোটেলে হঠাৎ হাজির স্যার ভিভ রিচার্ডস। ক্যারিবীয় ক্রিকেট-কিংবদন্তিকে সামনে দেখে ভারতের ক্রিকেটাররা তো হতবাক। সেদিন অন্যদের তুলনায় বিরাট কোহলির সঙ্গে একটু বেশিই সময় কাটিয়েছিলেন রিচার্ডস। সর্বকালের অন্যতম সেরার সান্নিধ্যই হয়তো উজ্জীবিত করে তুলেছে এ সময়ের অন্যতম সেরাকে। অ্যান্টিগায় প্রথম টেস্টেই দ্বিশতকের উচ্ছ্বাসে ভেসে গেছেন কোহলি। দেশের বাইরে এটাই কোনো ভারতীয় অধিনায়কের প্রথম দ্বিশতক।
তবে কোহলি একা নন, ক্যারিবীয় বোলারদের রবিচন্দ্রন অশ্বিনও কম যন্ত্রণা দেননি। ‘নাইটওয়াচম্যান’ হিসেবে খেলতে নেমে শতক করেছেন অশ্বিন। দুজনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ৫৬৬ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে ‘টিম ইন্ডিয়া’। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১ উইকেটে ৩১ রান।
সাম্প্রতিক সময়ে কোহলির ধারাবাহিকতা অবিশ্বাস্য। এ বছর অস্ট্রেলিয়া সফর, এশিয়া কাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আইপিএলে তাঁর ব্যাটে ছিল রানের জোয়ার। ক্যারিবিয়ানেও যে জোয়ার অব্যাহত। প্রথম দিন অপরাজিত ছিলেন ১৪৩ রানে। শুক্রবার দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্ন-বিরতির ঠিক আগে ডিপ মিডউইকেটে ঠেলে একটি রান নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম দ্বিশতক পূর্ণ করেছেন কোহলি।
তার পরই এক আবেগঘন দৃশ্যের জন্ম। হাঁটু গেড়ে মাটিতে চুমু খেয়ে কোহলির উদযাপন দেখে আপ্লুত হয়েছেন স্বয়ং ভিভ রিচার্ডস। নিজের নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে কোহলির কীর্তিকে হাততালি দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
দ্বিশতক করেই অবশ্য আউট হয়ে গেছেন কোহলি। ২৮৩ বলে ২০০ রানের অধিনায়কোচিত ইনিংসটি সাজানো ছিল ২৪টি চারে।
পঞ্চম উইকেটে কোহলির সঙ্গে ১৬৮ রানের জুটি গড়া অশ্বিনের কৃতিত্বও কম নয়। ব্যক্তিগত ৪৩ রানে উইকেটরক্ষক শেন ডাউরিচের ব্যর্থতায় ‘জীবন’ পাওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে ১১৩ রান করেছেন তিনি। ভারতকে রানের পাহাড়ে নিয়ে যেতে অশ্বিনের তৃতীয় টেস্ট শতকেরও বিশাল অবদান।