বাংলাদেশের দারুণ সুযোগ : মাশরাফি
নিষেধাজ্ঞার কারণে প্রথম ম্যাচটি খেলতে পারেননি। তাতে দুঃখবোধ নেই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। দীর্ঘ ১৬ বছরের অপেক্ষার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতেছে বাংলাদেশ, এটিই তাঁর কাছে বড় কথা। মাঠে হয়তো থাকতে পারেননি, কিন্তু দলের অংশ ছিলেন বলে বেশ আনন্দিত তিনি। বাংলাদেশ অধিনায়কের এখন একটি মাত্র লক্ষ্য, পরের ম্যাচটি জিতে সিরিজ নিজেদের করে নেওয়া। শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে তিনি বলেছেন, এটি বাংলাদেশের জন্য দারুণ একটি সুযোগ।
বাংলাদেশ দলের ভাবনা এখন শুধু পরের ম্যাচটি নিয়েই। এর বাইরে অন্য কোনো চিন্তা নেই। নেই ‘বাংলা ওয়াশ’ বা ‘হোয়াইট ওয়াশ’ করার লক্ষ্য। মাশরাফির মতে, এটি বাড়তি চাপ, ‘বাংলাদেশের সামনে এখন দারুণ একটি সুযোগ সিরিজ জেতার। তাই আমাদের সব ভাবনাজুড়ে পরের ম্যাচটি নিয়েই। তারপরই আমরা সিরিজের শেষ ম্যাচটির কথা ভাবব। এখনই অন্য কিছু ভেবে বাড়তি চাপ নিতে চাই না।’
৭৯ রানের সহজ জয়ে ১-০তে এগিয়ে থেকে বাংলাদেশের সামনে সিরিজ জয়ের হাতছানি। তাই বেশ ফুরফুরে মেজাজে মাশরাফিরা। তবে সতর্ক বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘প্রতিটি ম্যাচ হয়তো ভালো খেলা সম্ভব না। তবে ভুল-ত্রুটি শুধরে আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা জিতব। প্রথম ম্যাচটি আমরা যেভাবে খেলেছিলাম, এমন ম্যাচ খেলতে পারলে যেকোনো দলকেই হারানো সম্ভব।’
আগের ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা যতটা ভালো খেলেছে, বোলিং ঠিক ততটা ভালো হয়নি মনে করেন মাশরাফি, ‘তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের দৃঢ়তায় আগের ম্যাচে আমাদের ব্যাটিং যতটা ভালো হয়েছে, বোলিং ঠিক ততটা ভালো হয়নি। তাই বলে তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানির কৃতিত্বকে খাটো করে দেখছি না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা আরো ভালো করতে পারতাম। তারপরও আমরা ম্যাচ জিতেছি, সেটাই বড় কথা।’
বাংলাদেশ দল বড় ব্যবধানে জিতেছে বলে পাকিস্তান দলটিকে মোটেও খাটো করে দেখার অবকাশ নেই বলে জানান এই ডানহাতি পেসার, ‘পাকিস্তান দলটিকে মোটেও দুর্বল ভাবা যাবে না। তাদের বোলিং আক্রমণ খুবই শক্তিশালী। বিশ্বকাপে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা প্রায় সবাই রয়েছেন। নতুনরা আসবেন এটাই স্বাভাবিক। দলটিতে হয়তো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের কিছু ঘাটতি রয়েছে। তবে শক্তির বিচারে তাঁরা কোনো অংশেই কম নয়।’