মুখোমুখি লড়াইয়ের অপেক্ষায় দুই বোন
শীর্ষ বাছাই সেরেনা উইলিয়ামসের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু কিছুটা অপ্রত্যাশিতভাবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শেষ আটে পা রেখেছেন সেরেনার বড় বোন ভেনাস। তাই দুই বোনের মুখোমুখি লড়াইয়ের একটা সম্ভাবনাও উঁকি দিচ্ছে। কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা পেরোতে পারলে ২০০৮ সালের ইউএস ওপেনের পর আবার কোনো গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে দেখা হবে উইলিয়ামস বোনদের।
২০১০ সালের পর এই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্লামের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেন ভেনাস। চতুর্থ রাউন্ডে সাতটি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী ৬-৩, ২-৬, ৬-১ গেমে হারিয়েছেন পোল্যান্ডের ষষ্ঠ বাছাই আগ্নিয়েস্কা রাদভান্সকাকে। এখনো যে ফুরিয়ে যাননি, মেলবোর্ন পার্কে সেটাই যেন ধ্বনিত হচ্ছে ৩৪ বছর বয়সী ভেনাসের র্যাকেটে। ম্যাচ শেষে সাফল্য ধরে রাখার প্রত্যয় জানিয়ে মেয়েদের টেনিস র্যাংকিংয়ের সাবেক এক নম্বর বললেন, ‘অবশ্যই আমি প্রতিটা প্রতিযোগিতার শেষ পর্যন্ত খেলতে চাই। সবাই তেমনটাই চায়। কিন্তু সব সময় সবার ক্ষেত্রে সেটা ঘটে না। এখন সময়টা আমার। আর আমি এটা ধরে রাখতে চাই। এই বছরে তো বটেই। পরের বছরেও। কিন্তু সে জন্য আমাকে খাটতে হবে।’
কোয়ার্টার ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের ভেনাসের প্রতিপক্ষ স্বদেশের ম্যাডিসন কিয়েস। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে স্পেনের গারবিন মুগুরুজাকে ২-৬, ৬-৩, ৬-২ গেমে হারানো সেরেনাকে লড়তে হবে স্লোভাকিয়ার দোমিনিকা চিবুলকোভার বিপক্ষে। শেষ আটে জয় পেলে সেমিফাইনালে টেনিস বিশ্ব আরো একবার দেখবে দুই বোনের লড়াই।
এখন পর্যন্ত ২৫টি মুখোমুখি লড়াইয়ের ১৪টিতে জয় পেয়েছেন সেরেনা। বাকি ১১টিতে জিতেছেন ভেনাস। গ্র্যান্ড স্লামে দুই বোন মুখোমুখি হয়েছেন সাতবার। এখানেও চারবার জিতে এগিয়ে আছেন ছোট বোন সেরেনা। দুই বোন সর্বশেষ একে অপরের বিপক্ষে খেলেছিলেন গত বছরের কানাডিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে। সেবার সেরেনাকে হারিয়ে ফাইনাল পর্যন্ত গেলেও ভেনাস শিরোপা জিততে পারেননি।
পুরুষ এককে শেষ ষোলোর বাধা পেরিয়েছেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জোকোভিচ। লুক্সেমবার্গের জিল মুলারকে ৬-৪, ৭-৫, ৭-৫ গেমে হারিয়ে পা রেখেছেন কোয়ার্টার ফাইনালে। এই জয় দিয়ে ইতিহাস গড়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলেন জোকোভিচ। চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে উন্মুক্ত যুগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে রেকর্ড পাঁচটি শিরোপা জয়ের অনন্য কীর্তি গড়বেন এই সার্বিয়ান তারকা। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন সুইজারল্যান্ডের স্টানিস্লাস ভাভরিংকাও।