খুলনা টেস্ট
নিজেকেই দুষছেন মুমিনুল
প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের প্রায় পুরো সময় আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন মুমিনুল হক। দিনের শেষেও থাকলেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে। সেটা যতটা না ৮০ রানের লড়াকু ইনিংসের জন্য, তার চেয়েও বেশি দিনের শেষ বলে আউট হওয়ার জন্য। টানা ১০ টেস্টে অন্তত একটি ইনিংসে ৫০ বা তার চেয়ে বেশি রান করার বিরল কীর্তি গড়লেও মুমিনুল ভীষণ হতাশ। তিনি আউট না হলে দল অনেক ভালো জায়গায় থাকত- এটা ভেবে বারবার নিজেকে দুষছেন ২৩ বছর বয়সী এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান।
দিনের ২৭তম ওভারের শেষ বলে তামিম ইকবাল আউট হওয়ার পর উইকেটে আসেন মুমিনুল হক। এরপর ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৪০, ৯৫ ও ৪৯ রানের জুটি গড়ে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বস্তির সমাপ্তির পথে। নিজেও গড়েছেন বিরল কীর্তি। টানা ১০ টেস্টে অন্তত একটি ফিফটি করে ভিভ রিচার্ডস, শচীন টেন্ডুলকারদের মতো কিংবদন্তির পাশে নাম লিখিয়েছেন তিনি। তবে এই কীর্তির চেয়ে দিনের শেষ বলে আউট হয়ে যাওয়ার আফসোসেই বেশি পুড়ছেন। প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেছেন, ‘এখনো আমরা ভালো অবস্থানে আছি। কিন্তু আমার উইকেটটা না পড়লে খুব ভালো হতো।’ জুলফিকার বাবরের বলে বাজে শট খেলতে গিয়েই যে এলবিডব্লিউ হয়েছেন, সেটাও স্বীকার করে নিয়েছেন মুমিনুল। ক্ষণিকের জন্য মনোযোগ হারানোর মাশুল দিতে হয়েছে বলে জানালেন তিনি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে যে পরিকল্পনা ছিল, বাংলাদেশ তা বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করেন মুমিনুল।
শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে পুরো দিন ব্যাটিং করে ২৩৬ রান একটু কমই কি না, এমন প্রশ্নও উঠল সংবাদ সম্মেলনে। মুমিনুল বললেন, ‘উইকেট খুব স্লো। এখানে হয়তো অনেকক্ষণ টিকে থাকা যায়। কিন্তু রান করা খুব কঠিন। সাকিব-তামিম ভাইরা ওয়ানডেতে আক্রমণাত্মক খেলে এসেছেন। কিন্তু তাঁদেরও রান পেতে সমস্যা হয়েছে।’ প্রথম ইনিংসে কত রান করতে পারলে পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া যাবে- এমন প্রশ্নে মুমিনুলের জবাব, ‘আমার মনে হয় ৩০০ রানই যথেষ্ট।’
খুলনা স্টেডিয়ামে রান করা যে কঠিন, তা মনে করছেন আজহার আলীও। পাকিস্তানের ওয়ানডে অধিনায়কের ধারণা, এই পিচে বাংলাদেশ ভালোই খেলেছে। প্রথম দিনে বাংলাদেশের মাত্র চার উইকেট নিতে পারলেও দ্বিতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারে তিনি আশাবাদী।