নাসিরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান
গত বছর নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন নাসির হোসেন। আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ সর্বশেষ খেলেছেন এ বছর মার্চে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এর পর থেকে দলে আছেন কিন্তু একাদশের বাইরে রাখা হয় এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকে।
আফগানিস্তান সিরিজের পর এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানতেও দলের নিচের সারির ব্যাটসম্যানরা যখন ব্যর্থ হচ্ছেন, তখনই নাসিরের মতো একজন ফিনিশারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। জোরালো আলোচনার পর শেষ পর্যন্ত তাঁকে দলে নিতে বাধ্য হয় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট।
আজ রোববার অতিথি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে একাদশে নেওয়া হয়েছে এই ডানহাতিকে। তাই দল থেকে বাদ পড়েছেন বাঁহাতি স্পিনার মোশাররফ হোসেন রুবেল। রুবেল অবশ্য আগের ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে হাতের তালুতে কিছুটা ব্যথা পান। তাই প্রায় এক বছর আবার দলে ফিরলেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
নিচের সারিতে ব্যাট করতে নেমে বহু ম্যাচে দলকে সাফল্য এনে দিয়েছেন নাসির। তাই তাঁর নামের পাশে যোগ হয়েছে ‘ফিনিশার’ শব্দটি। কেন তাঁকে এতদিন একাদশের বাইরে রাখা হচ্ছিল? জনশ্রুতি আছে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে নাকি তাঁর প্রতি কিছুটা বিরাগভাজন।
তা ছাড়া নাসির নাকি অনুশীলনেও কিছুটা অনিয়মিত ছিলেন। তাই কোচের অপছন্দের তালিকায় ছিলেন তিনি। অবশ্য দল থেকে তাঁকে কখনোই বাদ দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। বিশেষ করে এই আফগানিস্তান সিরিজের পর আলোচনা জোরালো হয়ে উঠেছে, আর কতদিন উপেক্ষিত থাকবেন নাসির।
শেষ পর্যন্ত তাঁর অপেক্ষার অবসান হয়েছে। ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই সিরিজে পাওয়া সুযোগটাকে তিনি কতটুকু কাজে লাগাতে পারেন, সেটাই এখন দেখার।