৪ মিনিটের বিতর্কে মহেন্দ্র সিং ধোনি
ভারতীয় সমর্থকদের কেউ কেউ বলেন মহেন্দ্র সিং ধোনির বুদ্ধি কম্পিউটারের চেয়েও বেশি। কথাটিকে ভুলও বলার খুব একটা সুযোগ নেই। কারণ এই ক্রিকেটারের চিন্তাশক্তি এবং তার সূক্ষ্ম সব সিদ্ধান্ত বার বার চমকে দিয়েছে ক্রিকেট বিশ্বকে। আরও একবার ধোনির বুদ্ধির জোরে হতবাক ক্রিকেটপ্রেমীরা।
মঙ্গলবার (২৩ মে) আইপিএলের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে ম্যাচে ১৫ রানের জয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে চেন্নাই সুপার কিংস। আর এমন জয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ধোনি। তাও আবার সময় নষ্ট করে।
ঘটনার সূত্রপাত গুজরাট ইনিংসের ১৬তম ওভারে। ওভারটি করতে মাথিশা পাথিরানাকে ডাকেন ধোনি। তবে শ্রীলঙ্কান এই পেসারের বোলিংয়ে বাধা দেন আম্পায়ার। জানান, পাথিরানা মাঠের বাইরে ছিলেন বলে এখনই বোলিং করতে পারবেন না তিনি।
নিয়মানুযায়ী একজন ফিল্ডার যতটুকু সময় বাউন্ডারির বাইরে থাকবেন, ফেরার পর ততটুকু সময় মাঠে থাকার পরই বোলিং করতে পারবেন। পাথিরানা মোট ৮ মিনিট মাঠের বাইরে ছিলেন, আর ধোনি যখন তাকে ডাকে তখনও সময় শেষ হতে আরও চার মিনিট বাকি ছিল। তাই ওইসময় বাধ্য হয়ে নতুন কাউকে দিয়ে বল করাতে হতো ধোনিকে।
ব্যাপারটি বুঝতে পেরে, নতুন পরিকল্পনা সাজিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে আড্ডায় মাতেন ধোনি। কাটিয়ে দেন ৪ মিনিট।
এদিকে ধোনির এমন বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্তে ৪ মিনিট সময় পূরণ হওয়ায় বল করার অনুমতি পান পাথিরানা। যার ফলে নতুন কাউকে আর বোলিংয়ে আনার প্রয়োজন পড়েনি ধোনির। আর জেনেবুঝে ধোনির এমন পরিকল্পনা নিয়েই হচ্ছে সমালোচনা।
আসলে ধোনির পরিকল্পনা ছিল ইনিংসের ১৬, ১৮ ও ২০তম ওভার পাথিরানাকে দিয়ে বল করাবেন। তবে ১৬তম ওভারটি না করাতে পারলে ডেথ ওভারে ৩ ওভার তাকে দিয়ে করানোর যে সুযোগ তা হাতছাড়া হবে। যেহেতু নিয়মের বাইরে যাওয়া যাবে না। তাই এমন ফন্দি আঁটেন ধোনি
অবশ্য শুরুতে না বুঝলেও পরে সময় নষ্ট করার ব্যাপারটি বুঝতে পারে সমর্থকরা। একপর্যায়ে ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা সুনীল গাভাস্কার বলে ওঠেন, ‘আপনাকে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। এমনকি আম্পায়ার যদি প্রচণ্ড চাপের পরিস্থিতিতে ভুল সিদ্ধান্তও নিয়ে থাকেন।’
নিউজিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটর সাইমন ডুল বলেন, ‘৫ মিনিট আম্পায়ারদের সঙ্গে অহেতুক কথা বলল। অন্য এক জনকে বল না করিয়ে খেলাটা থামিয়ে রাখল শুধু। ম্যাচ শেষে এটা নিয়ে আফসোস করতে হতে পারে ধোনিকে।’ ওই সময় নষ্ট করায় ম্যাচের শেষ ওভারে শাস্তি পায় চেন্নাই। একজন বাড়তি ফিল্ডারকে ৩০ গজের মধ্যে আনতে হয়। তাতেও অবশ্য খুব বেশি সমস্যা হয়নি চেন্নাইয়ের। কারণ এর আগেই তো ধোনি ম্যাজিকে তারা নিশ্চিত করে ফেলে ফাইনাল।