লখনৌকে উড়িয়ে কোয়ালিফায়ারে গুজরাটের সঙ্গী মুম্বাই
মোমেন্টামের খেলা টি-টোয়েন্টি। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই ক্রিকেটে মোমেন্টাম ধরে রাখাটা জরুরী। ২৩ রানে দুই উইকেট হারানো লখনৌ সুপার জায়ান্টস এই কাজটাই ঠিকঠাক করতে পারেনি। দলীয় ৬৯ রানে ক্রুনাল পান্ডিয়ার বিদায়ে ছন্দ হারায় দলটি। সেই হারানো ছন্দকে কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
পরিসংখ্যান যে কেবল সংখ্যামাত্র তাই যেন প্রমাণ করল মুম্বাই। শেষ তিনবারের দেখায় লখনৌর কাছে হারা দলটিই কিনা সঠিক সময়ে নিল প্রতিশোধ। তুলে নিল দাপুটে এক জয়। কেন আইপিএলে সবচেয়ে সফল দল মুম্বাই, ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখাল রোহিত-যাদবরা। ৮১ রানের জয়ে জোরাল করল ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা।
গতকাল বুধবার (২৪ মে) চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটের বিনিমেয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় মুম্বাই। জবাবে সব উইকেট হারিয়ে ১০১ রানের বেশি করতে পারেনি লখনৌ।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েও জুটি বড় করতে ব্যর্থ মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার ইশান কিশান ও রোহিত শর্মা। দলীয় ৩০ রানের মাথায় ১০ বলে ১১ রান করে বিদায় নেন অধিনায়ক রোহিত। তার বিদায়ের পর আরেক ওপেনার কিশানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলীয় ৩৮ রানের সময় ১২ বলে ১৫ করে সাজঘরের পথ ধরেন কিশান।
দ্রুতই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে মুম্বাই।
সেই চাপ অবশ্য বেশ ভালোভাবে সামাল দেন সুর্যকুমার যাদব ও ক্যামেরুন গ্রিন। এই দুই ব্যাটারের ৬৬ রানের জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দেয় মুম্বাই। এরপর দলীয় ১০৪ রানে ২০ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন যাদব। তার বিদায়ের এক রানের মাথায় ফেরেন ক্যামেরুন গ্রিন। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৩ বলে ৪১ রান।
এই দুই হার্ডহিটার ব্যাটারের বিদায়ে মুম্বাইয়ের পাহাড়সম সংগ্রহের আশা শেষ হয়ে যায়।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও শেষদিকে তিলক বার্মা-টিম ডেভিডদের ব্যাটে ভর করে ১৮২ রানে থামে মুম্বাই। লখনৌর হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন নবীন উল হক আর ইয়াশ ঠাকুর নেন ৩টি উইকেট।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করতে ১৮৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় ধাক্কা খায় লখনৌ। দলীয় ১২ রানে হারায় প্রথম উইকেট। ৬ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন প্রিরাক মানকাদ।
এরপর দলীয় ২৩ রানের সময় আরেক ওপেনার কাইল মায়ার্স ফেরেন ১৩ বলে ১৮ করে।
দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে টেনে তোলার দায়িত্বটা পড়ে অধিনায়ক ক্রুনাল পান্ডিয়া ও মার্কাস স্টোয়নিসের কাঁধে। বেশ ভালোই ব্যাটিং করছিলেন এই দুই ব্যাটার। তবে ফের ছন্দপতন। দলীয় ৬৯ রানের মাথায় পান্ডিয়ার বিদায়ে চাপ বাড়ে লখনৌর। এরপর ৫ রানের মাঝে আরও দুই উইকেট হারায় দলটি।
সবমিলিয়ে ৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে তাদের জয়ের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়। এরপর লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা চেষ্টা করলেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ঠ ছিল না। শেষমেশ ১০ উইকেট হারিয়ে ১০১ রানে থামে লখনৌ।