মেসি-রামোসের বিদায়ী ম্যাচে পিএসজির হার
লিওনেল মেসি যে ফরাসি ক্লাব পিএসজিতে থাকছেন না, এই ঘোষণাটা আগেই দিয়েছিলেন কোচ ক্রিস্টোফার গালতিয়ের। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। পিএসজির জার্সিতে নিজের শেষ ম্যাচে সন্তানদের নিয়ে হাজির হন মেসি। যদিও শেষটা রাঙাতে পারলেন না আর্জেন্টাইন মহাতারকা। হার দিয়ে শেষ হলো আর্জেন্টাইন কিংবদন্তির প্যারিস অধ্যায়।
গতকাল শনিবার (৩ জুন) ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সেসে ক্লেরমর কাছে ৩-২ গোলে হেরেছে পিএসজি। এতে জয় দিয়ে মৌসুম শেষ করা হলো না ফরাসি ক্লাবটির। ম্যাচের আগে স্টেডিয়ামের স্পিকারে পিএসজির স্কোয়াড ঘোষণার সময় মেসির নাম শুনে দুয়োও দিয়েছেন কিছু সমর্থক। এবারের মৌসুমে এর আগেও বেশ কয়েকটি ম্যাচে মেসিকে দুয়ো দিয়েছেন পিএসজি সমর্থকরা।
মেসি-রামোসের বিদায়ী ম্যাচে আরও এক ফুটবলারকে সম্মান জানানো হয়েছে। তিনি সার্জিও রিকো। এই মৌসুমে পিএসজির হয়ে একটি ম্যাচও খেলেননি তিনি। দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন রিকো। এই সময়ে তাকে সমর্থন জানান সতীর্থরা। মেসি, এমবাপ্পেরা সবাই রিকোর নাম লেখা জার্সি পরে খেললেন।
বিদায়ী ম্যাচটা কিছুটা হলেও স্মরণীয় করে রাখলেন রামোস। মেসি গোল না পেলেও রামোস পেয়েছেন গোলের দেখা। ম্যাচের ১৬তম মিনিটে দুর্দান্ত হেডে দলকে এগিয়ে নেন এই স্প্যানিশ তারকা। তার গোলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায়। এর মিনিট তিনেক পরেই আশরাফ হাকিমিকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় পিএসজি। পেনাল্টি থেকে মৌসুমের ২৯তম গোল করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে।
তবে ২-০ গোলের লিড পেলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি পিএসজির। ম্যাচের ২১তম মিনিটের মাথায় প্যারিসের রক্ষণের ভুলে এক গোল শোধ করে ক্লেরমর। ভেরাত্তির ব্যাক পাস গোলরক্ষক ডোনারুম্মার কাছে যাওয়ার আগেই বল দখলে নিয়ে গোল করে দেন জোহান গাস্টিয়েন।
ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে ফের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ক্লেরমর। একিটিকে হ্যান্ডবল করায় পেনাল্টি পায় ক্লেরমর। কিয়েই সেই বল পোস্টের বাইরে মারেন। এরপর ৪১তম মিনিটে মেসির ফ্রি কিক একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। প্রথমার্ধের বিরতিতে যাওয়ার ঠিক আগেই ক্লেরমর হয়ে দ্বিতীয় গোল করেন মেহেদি জিফান। বাকি সময়ে আর গোল না হওয়ায় ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দুই দল।
শেষ ম্যাচটা রাঙানোর সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি, তবে কাজে লাগাতে পারেননি। ম্যাচের ৫৩তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ফাঁকায় থাকা মেসিকে বল বাড়ান এমবাপ্পে। মেসির বাঁ পায়ের শট বারের ওপর দিয়ে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ক্লেরমর হাই প্রেসিং ফুটবল খেলছিল। ফের একবার যার ফল পায় ক্লাবটি। ৬৩তম মিনিটে কিয়েই দলের তৃতীয় গোল করেন। এগিয়ে যায় ক্লেরমর। বাকি সময়ে অনেক চেষ্টা করেও গোলের মুখ খুলতে পারেননি মেসি-এমবাপ্পেরা। এর ফলে শেষ ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হলো মেসি-রামোসদের।