ক্রোয়েশিয়ার স্বপ্ন ভেঙে নেশন্স লিগের চ্যাম্পিয়ন স্পেন
আরেকটি ফাইনাল, আরেকটি স্বপ্নভঙ্গের হতাশা। খুব কাছে এসেও একটি আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদ পেল না লুকা মদ্রিচ-ইভান পেরিসিচদের নিয়ে গড়া ক্রোয়েশিয়ার সেরা প্রজন্ম। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ১১ বছর পর কোনো শিরোপার দেখা পেল স্পেন। উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে গতকাল (১৮ জুন) বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত পৌনে একটায় মুখোমুখি হয় ক্রোয়েশিয়া ও স্পেন। টাইব্রেকারে ক্রোয়াটদের ৫-৪ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নেশন্স লিগের শিরোপা জেতে স্পেন।
নেদারল্যান্ডসের রটারডামের দে কুইপ স্টেডিয়ামে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামে দুদল। নতুন কোচ লুইজি দি লা ফুয়েন্তের অধীনে প্রথম বড় কোনো টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েই ফাইনালে ওঠে স্প্যানিশরা। ২০১২ সালে ইউরো জয়ের পর আর কোনো শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি লা রোজারা। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার ভরসা কোচ জ্লাতকো দালিচেই। তার অদীনে দুর্দান্ত ক্রোয়েশিয়া ২০১৮ বিশ্বকাপের পর আবারও কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠে।
ম্যাচের নির্ধারিত ৯০ মিনিট কাটে গোলশূন্য। স্পেন ক্রোয়েশিয়া দুদলই তাদের স্বভাবজাত খেলায় মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টায় থাকে। মদ্রিচদের চেয়ে জর্দি আলবা-পেদ্রিরাই আক্রমণ করেছে বেশি। নির্ধারিত সময়ে খেলা মীমাংসা না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে। সেখানেও দুদল ব্যর্থ গোলরক্ষকদের ফাঁকি দিতে।
বল পজিশন কিংবা পাসে কাছাকাছিই ছিল ক্রোয়েশিয়া ও স্পেন। ম্যাচে ৪৫ শতাংশ সময় বল ক্রোয়াটদের পায়ে এবং ৫৫ শতাংশ সময় লা রোজাদের দখলে ছিল। ক্রোয়েশিয়ার ৬৩৬ পাসের বিপরীতে স্পেনের পাসসংখ্যা ৭৬৩। নির্ভুল পাসের হার দুদলেরই সমান ৮৫ শতাংশ। কিন্তু আসল কাজ যেটি, সেই গোল বের করতে পারেনি কেউই। ক্রোয়েশিয়ার গোলমুখে গোটা ২১টি আক্রমণ করে স্পেন, যার মধ্যে মোটে দুটি অন টার্গেট শট। অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়া তুলনামূলক কম শট নিলেও অন টার্গেট বেশি। ১২শটে তাদের অন টার্গেট পাঁচটি।
১২০ মিনিটেও ফল না এলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় পেনাল্টি শ্যুট আউটে। সেখানে প্রথম তিনটি শটে দুই দল লক্ষ্যভেদ করলেও ক্রোয়েশিয়া চতুর্থ শট মিস করে বসে। শেষ পর্যন্ত ৫-৪ ব্যবধানে জিতে ম্যাচ ও শিরোপা নিজেদের করে নেয় স্পেন।