প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে ইতালির মাঠে বেলজিয়ামের ড্র
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল। ২৫ মিনিট না যেতে আরেকবার ইতালির গোল উৎসব। এরপর যা হলো ইতালি হয়ত তা ভাবতেও পারেনি। তাদেরই মাঠে জোড়া ধাক্কা খাওয়ার পর প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল বেলজিয়াম। ঘুরে দাঁড়িয়ে ইতালির মাঠ থেকে ড্র নিয়ে ফিরল সফরকারীরা।
উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে বৃহস্পতিবার রাতে ইতালির বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে বেলজিয়াম। ইতালির হয়ে গোল করেছেন আন্দ্রেয়া কাম্বিয়াসো ও মাতেও রেতেগি। অন্যদিকে অতিথিদের হয়ে জালের দেখা পান মাক্সিম দে কাওপার ও লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড।
রোমের স্তাদিও অলিম্পিকো স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে দারুণ লড়াই দেখেছে ভক্তরা। এদিন ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজানোর প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যায় ইতালি। বাঁ দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বক্সে পেয়ে, ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে শট নেন কাম্বিয়াসো। বেলজিয়াম গোলরক্ষক পা দিয়ে বাধা দিলেও রক্ষা করতে পারেননি। দ্বিতীয় চেষ্টায় স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন জুভেন্টাস ডিফেন্ডার।
২৪তম মিনিটে আবারো ইতালির গোল। এবার ব্যবধান দ্বিগুণ করেন রেতেগি। এখানেও অবশ্য নাম জড়িয়ে কাম্বিয়াসোর। তার কোনাকুনি শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন কোয়েন কাস্তেলস, কিন্তু এবারও দলকে বাঁচাতে পারেননি তিনি। ছয় গজ বক্সে বল পেয়ে সহজেই স্কোরলাইন ২-০ করেন রেতেগি।
দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাস নিয়ে খেলছিল ইতালি। কিন্তু বিরতির আগেই সেই উচ্ছ্বাসে ভাটা দিল বেলজিয়াম। ম্যাচের ৪২তম মিনিটে কাওপারের গোলে ব্যবধান কমায় অতিথিরা।
এরপর বাকি গল্প লেখে বিরতির পর। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরেকটি গোল করে ম্যাচে ফেরে তারা। ৬১তম মিনিটে ইতালিকে স্তব্ধ করে গোলটি করেন। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ইতালি। ঘরের মাঠে পয়েন্ট হারিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
অবশ্য পয়েন্ট হারালেও 'এ’ লিগের ২ নম্বর গ্রুপের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ইতালি। তিন ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭। অন্যদিকে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বেলজিয়াম।
দিনের আরেক ম্যাচে ইসরায়েলকে ৪-১ গোলে হারিয়েছে ফ্রান্স। ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে তারা। আর শূন্য পয়েন্ট নিয়ে এই গ্রুপের তলানিতে আছে ইসরায়েল।