তারকা নেই, তবুও নারী বিশ্বকাপে ফেভারিট ইংল্যান্ড
দরজায় কড়া নাড়ছে ফিফা নারী বিশ্বকাপের নবম আসর। আগামী ২০ জুলাই থেকে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে শুরু হতে চলেছে ফিফা নারী বিশ্বকাপ ২০২৩। এবারই প্রথম ওশেনিয়া অঞ্চলে আয়োজিত হচ্ছে নারী বিশ্বকাপ। ৩২ দলের অংশগ্রহণও এবারই প্রথম। নারী ফুটবলের কলেবর বাড়াতে ফিফার এমন উদ্যোগ।
নারী বিশ্বকাপে এবারের আসরের অন্যতম ফেভারিট ভাবা হচ্ছে ইংল্যান্ডকে। ফুটবলবিষয়ক ওয়েবসাইট গোল ডটকমে আজ সোমবার (১৭ জুলাই) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি কারণ দেখিয়েছে।
নারী ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের দলগত উদ্যম। যুক্তরাষ্ট্র, স্পেনের মতো ইংলিশ দলে বড় তারকা নেই তেমন। তবে যার যার জায়গা থেকে সর্বোচ্চটা দিয়েই তারা জিতেছে ইউরো।
বর্তমান ইংল্যান্ড দলের সবচেয়ে বড় তারকা তাদের কোচ সারিনা উইগম্যান। সারিনার অধীনে ২০১৭ সালের নারী ইউরো জিতেছিল নেদারল্যান্ডস। ডাচদের নিয়ে উঠেছিলেন ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে। সেবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে বিশ্বকাপ জিততে পারেননি সারিনা।
এরপর ইংল্যান্ডের দায়িত্ব নিয়ে দলটাকে গড়ে তুলেছেন একক নির্ভর না করে। জিতিয়েছেন প্রথম মেজর শিরোপা। তাই, ইংল্যান্ড দলের ‘এক্স ফ্যাক্টর’ কোচ নিজেই।
কোচের সবচেয়ে বড় শক্তি আক্রমণভাগ। কোল কেলি, লরেন হ্যাম্প, কেটি রবিনসনরা খেলছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, ব্রাইটনের মতো ক্লাবগুলোতে। তাদের শান দিয়ে আরও ক্ষুরধার করে গড়ে তোলার দায়িত্বে সারিনা তো আছেনই।
এ ছাড়া গ্রুপ পর্বে ‘ডি’ গ্রুপে ইংল্যান্ডের তিন প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক, চায়না ও হাইতি। ডেনমার্ক ছাড়া বাকি দুই দল র্যাাঙ্কিংয়ে আট নম্বরে থাকা ইংলিশদের জন্য খুব বেশি হুমকি হওয়ার কথা নয়।
আগামী ২০ জুলাই অকল্যান্ডে নিউজিল্যান্ড-নরওয়ে ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠবে নারী বিশ্বকাপের নবম আসরের। চলবে ২০ আগস্ট পর্যন্ত। নারী বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্র। সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়নও মার্কিন নারীরা।