আফগানদের থামিয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
আফগানিস্তান ‘এ’ দল খেলেছে দারুণ। কিন্তু, ম্যাচ জেতাতে যতটা প্রয়োজন ছিল ততটা পারেনি। বলা ভালো, করতে দেয়নি বাংলাদেশ ‘এ’ দল। আফগানদের প্রতিরোধ ব্যর্থ করে এসিসি ইমার্জিং এশিয়া কাপে সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল।
টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে আজ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান। আফগানদের ২১ রানে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদুল হাসান জয়ের সেঞ্চুরিতে ৫০ ওভার শেষে সাত উইকেটে ৩০৮ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ৫০ ওভারে আট উইকেটে ২৮৭ রানে থামে আফগানদের ইনিংস।
কলম্বোয় টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে, শুরুটা ভালো হয়নি সাইফ হাসানের দলের। আফগান বোলারদের সামনে শুরুতেই ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের টপঅর্ডার। ৫.৫ ওভারে ৩৪ রানে টপঅর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে বাংলাদেশ যখন ব্যাকফুটে, তখন ক্রিজে আসেন ডানহাতি ব্যাটার মাহমুদুল হাসান জয়। প্রথমে জাকির হাসানকে নিয়ে, পরবর্তীতে সৌম্য সরকারকে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন তিনি।
৬২ রান করা জাকিরের সঙ্গে ১১৭ এবং ৪৮ রান করা সৌম্যের সঙ্গে ৭৯ রানের দুটো জুটি গড়ে বাংলাদেশকে শক্ত ভিত এনে দেন মাহমুদুল হাসান। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে ক্রিজে নেমে ৪৭তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন তিনি। মাঝের সময়টায় উপহার দেন চমৎকার এক শতক। ১১৪ বলে ১২ চার ও দুই ছক্কায় ১০০ রান করেন। মাহমুদুল হাসানের এই সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ পায় তিন শ ছাড়াবার রসদ।
আফগানদের পক্ষে মোহাম্মদ সেলিম পান চার উইকেট।
৩০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা আফগানরা ২৬ রানে প্রথম উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে রিয়াজ হাসান ও নূর আলি জাদরান মিলে গড়েন ৯০ রান। রিয়াজ ৭৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন। আফগানদের হয়ে জাদরান ও অধিনায়ক শহিদুল্লাহ করেন ৪৪ রান। ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন বাহির শাহ। তবে, বাংলাদেশি বোলারদের রানরেট খেয়ালে রেখে করা বোলিংয়ে জয় থেকে ২১ রান দূরে থামতে হয় আফগানদের।
বাংলাদেশের পক্ষে তানজিম হাসান সাকিব তিনটি এবং রাকিবুল হাসান ও সৌম্য নেন দুটি করে উইকেট।