এশিয়া কাপ
অদ্ভুত সূচিতে ভারতের সুবিধা, বাংলাদেশের ভোগান্তি
নানা নাটকীয়তা শেষে প্রকাশ হয়েছে ২০২৩ এশিয়া কাপের চূড়ান্ত সূচি। যদিও এই সূচিতে বেশ দুশ্চিন্তায় পড়েছে বাংলাদেশ। মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে দুটো ভিন্ন দেশ, ভিন্ন কন্ডিশন ও ভিন্ন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। দীর্ঘ ভ্রমণ ক্লান্তির পাশাপাশি কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, যা বড় এক চ্যালেঞ্জই বটে।
এবারের এশিয়া কাপের সূচিটা বাংলাদেশের জন্য অন্য যেকোনো দলের চেয়ে অনেকটাই জটিল। প্রথম পর্বের দুটি ম্যাচই দুটি ভিন্ন দেশে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। আগামী ৩১ আগস্ট ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু হবে বাংলাদেশের। এর দুইদিন পরই লাহোরে ৩ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে হবে সাকিব-তামিমদের।
৩১ আগস্ট ম্যাচ শেষ করে পরদিন অর্থ্যাৎ ১ সেপ্টেম্বর লাহোরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বাংলাদেশ দল। সমস্যাটা হলো, ক্যান্ডি থেকে লাহোরের দূরত্ব প্রায় ২৭৫০ কি.মি.। আকাশপথে যে দূরত্ব পাড়ি দিতে কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা লাগবে। এরপর শুধু ২ সেপ্টেম্বর অনুশীলনের সুযোগ পাবেন ক্রিকেটাররা। এরপরই নেমে পড়তে হবে আফগানদের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে। সুপার ফোরে যেতে হলে এই ম্যাচগুলোতে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশের।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার্স-আপ যেটি হয়েই সুপার ফোরে বাংলাদেশ উঠুক না কেন, তাদের অবস্থান হবে বি২। সে অনুযায়ী সুপার ফোরে উঠলে প্রথম ম্যাচটি হবে লাহোরে, যেখানে প্রতিপক্ষ ‘এ’ গ্রুপের শীর্ষ দল। পাকিস্তান উঠলে তারাই হবে এ১, ভারত উঠবে এ২ হয়ে। তবে এ দুটি দলের কেউ উঠতে ব্যর্থ হলে তাদের জায়গা নেবে নেপাল। সুপার ফোরে উঠলেও দুটি ভিন্ন দেশে বাংলাদেশকে খেলতে হবে দুদিনের মধ্যে। ৬ সেপ্টেম্বর লাহোরের পর ৯ সেপ্টেম্বর কলম্বোতে সুপার ফোরের দুটি ম্যাচ। যার মানে আবার সেই ভ্রমণ ক্লান্তি।
তবে বাংলাদেশকে এমন জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হলেও শ্রীলঙ্কা ও ভারতের ক্ষেত্রে ভিন্ন চিত্র। কারণ এই দুটি দলের গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচই হবে লঙ্কাদ্বীপে। ভ্রমণের ঝামেলা নেই। কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়া হবে অনেকটাই সহজ। গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের মতো পাকিস্তান ও নেপালের ক্রিকেটারদের এমন ভ্রমণ ক্লান্তির মধ্যে পড়তে হবে।
তবে, ক্রিকেটারদের সুবিধার্থে এসিসি এ সময় চাটার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। জালাল ইউনুস বলেন, 'আমাদের তো লাহোরে যেতে হবে। শুরুতে শ্রীলঙ্কায় খেলা। প্রথম রাউন্ডে দুইটা ম্যাচ আছে আমাদের, পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা মিলিয়ে। যেতে হবে, কিছু তো করার নেই। ৩১ তারিখের পর ৩ তারিখ আমাদের আবার ম্যাচ। যাত্রাটা যেন আরামদায়ক হয় সেজন্য এসিসি থেকে চাটার্ড বিমান দেওয়া হবে। এটা ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'
জালাল ইউনুস আরও বলেন, 'যাতায়াত করলে তো সব সময় একটা প্রভাব পড়েই। আপনি যদি বিমানে যান তাহলে ২-৩ ঘন্টা আগে যেতে হয়। লাগেজ নিয়ে যেতে হয় এছাড়া মানসিক শক্তিরও বিষয় আছে। শ্রীলঙ্কা থেকে পাকিস্তান তো খুব কাছে না। যেহেতু এসিসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবাই মেনে নিয়েছে, তাই আমাদেরও মেনে নিতে হয়েছে।'