ফাইনাল নিশ্চিতে বাংলাদেশের সামনে মাঝারি লক্ষ্য
ইমার্জিং এশিয়া কাপে শিরোপার আশা বাঁচিয়ে রাখার মিশনে ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। চার বছর আগে ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে হেরে শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের। এবার অবশ্য সেই আক্ষেপ ঘোচাতে চায় সাইফ হাসানের দল। বোলারদের নৈপুণ্যে ভারতকে বড় স্কোর দাঁড় করাতে দেয়নি লাল-সবুজের দল।
আজ শুক্রবার (২১ জুলাই) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২১১ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত। ফাইনাল নিশ্চিতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২১২ রান।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি ভারতের। দুই ওপেনার মিলে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন। তবে দলীয় ২৯ রানের মাথায় তানজিম সাকিবের বলে উইকেটের পেছনে আকবর আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৪ বলে ২১ রান করে ফেরেন সাই সুদর্শন। তবে শুরুর ধাক্কা সামলে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেন অভিষেক শর্মা ও নিকিন জোশে। এই দুইজনের ৪৫ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানায় ভারত।
তবে সেই জুটিতে খুব বেশিদূর যেতে দেয়নি সাইফ। দলীয় ৭৪ রানের সময় নিকিনকে ফেরান তিনি। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ১৭ রান। নিকিনের বিদায়ের পর অভিষেকও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে ৬৩ বলে ৩৪ রান করে ফিরে যান তিনি।
দলীয় ৭৮ রানের মাঝে টপঅর্ডার ব্যাটারদের হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে ভারত। সেই চাপ আরও বাড়ে দলীয় ৯০ রানে নিশান্ত সিধুর বিদায়ে। রকিবুল হাসানের বলে তানজিদ হাসানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও শেষদিকে যশ দুলের হার না মানা ফিফটিতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২১১ রানের মাঝারি লক্ষ্য দাঁড় করায় ভারত ‘এ’ দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত : ৪৯.১ ওভারে ২১১ (সুদর্শন ২১, অভিষেক ৩৪, নিকিন ১৭, যশ ৬৬ , নিশান্ত ৫, পরাগ ১২, ধ্রুব ১, হারশিত ৯, মানাব ২১, দোডিয়া ০, হাঙ্গারগেকার ১৫; মাহাদী ১০-০-৩৯-২, রিপন ৬.১-০-২৯-১, তানজিম ৯-১-৫৮-২, সাইফ ১০-১-২৯-১, রকিবুল ১০-০-৩৬-২, জয় ২-০-৯-০, সৌম্য ২-০-৮-১)।