ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেমি থেকে বাংলাদেশের বিদায়
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারায় ইমার্জিং এশিয়া কাপের শুরুটা মনমতো হয়নি বাংলাদেশ ‘এ’ দলের। তবে পরের দুই ম্যাচে ওমান ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে সৌম্য-নাঈমরা। তবে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে পেরে ওঠেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেমিফাইনাল থেকেই বিদায় নিতে হলো বাংলাদেশকে।
আজ শুক্রবার (২১ জুলাই) কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সব উইকেট হারিয়ে ৪৯.১ ওভারে স্কোরবোর্ডে ২১১ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত। জবাবে ৩৪.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে বাংলাদেশ। ৫১ রানের হারে ফাইনাল খেলা হলো না সাইফ হাসানের দলের।
২১২ রানের মাঝারি লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই বাংলাদেশি ওপেনার নাঈম শেখ ও তানজিদ হাসান। ৭০ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশের রান তাড়া করার পথ অনেকটাই সহজ করেন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৭০ রানের মাথায় নাঈমের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৪০ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। প্রথম উইকেটের পর দ্বিতীয় উইকেট হারাতেও খুব বেশি সময় লাগেনি বাংলাদেশের। দলীয় ৯৪ রানের মাথায় বিদায় নেন আরেক সেট ব্যাটার তানজিদ। অবশ্য নাঈম ফিফটির দেখা না পেলেও তানজিদ ঠিকই ফিফটি পূরণ করেছেন। ৫৬ বলে ৫১ রান করে নিকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।
তবে এমন দুর্দান্ত শুরুর পরই যেন ছন্নছাড়া বাংলাদেশ। এরপর আর কোনো ব্যাটার দায়িত্ব নিতে না পারায় নিশ্চিত জেতা ম্যাচে হারতে হয় বাংলাদেশকে। ১৬০ রানে থামতে হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মন্দ হয়নি ভারতের। দুই ওপেনার মিলে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন। তবে দলীয় ২৯ রানের মাথায় তানজিম সাকিবের বলে উইকেটের পেছনে আকবর আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে ২৪ বলে ২১ রান করে ফেরেন সাই সুদর্শন। তবে শুরুর ধাক্কা সামলে দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করেন অভিষেক শর্মা ও নিকিন জোশে। এই দুইজনের ৪৫ রানের জুটিতে বাংলাদেশকে কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানায় ভারত। তবে সেই জুটিতে খুব বেশি দূর যেতে দেননি সাইফ। দলীয় ৭৪ রানের সময় নিকিনকে ফেরান তিনি। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৯ বলে ১৭ রান। নিকিনের বিদায়ের পর অভিষেকও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ৪ রানের ব্যবধানে ৬৩ বলে ৩৪ রান করে ফিরে যান তিনি। দলীয় ৭৮ রানের মাঝে টপঅর্ডার ব্যাটারদের হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে ভারত। সেই চাপ আরও বাড়ে দলীয় ৯০ রানে নিশান্ত সিধুর বিদায়ে। রকিবুল হাসানের বলে তানজিদ হাসানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও শেষদিকে যশ দুলের হার না মানা ফিফটিতে ভর করে স্কোরবোর্ডে ২১১ রানের মাঝারি লক্ষ্য দাঁড় করায় ভারত ‘এ’ দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর ভারত 'এ' দল : ৪৯.১ ওভারে ২১১ (সুদর্শন ২১, অভিষেক ৩৪, নিকিন ১৭, যশ ৬৬ , নিশান্ত ৫, পরাগ ১২, ধ্রুব ১, হারশিত ৯, মানাব ২১, দোডিয়া ০, হাঙ্গারগেকার ১৫; মাহাদী ১০-০-৩৯-২, রিপন ৬.১-০-২৯-১, তানজিম ৯-১-৫৮-২, সাইফ ১০-১-২৯-১, রকিবুল ১০-০-৩৬-২, জয় ২-০-৯-০, সৌম্য ২-০-৮-১)।
বাংলাদেশ 'এ' দল : ৩৪.২ ওভারে ১৬০ (নাঈম ৩৮, তানজিদ ৫১, জাকির ৫, সাইফ ২২, জয় ২০, সৌম্য ৫, আকবর ২, মাহাদী ১২, রকিবুল ০, তানজিম ০, রিপন ৫; হারশিত ১-০-১৬-০, দোডিয়া ৭-০-৩৫-১, হাঙ্গারগেকার ৩-০-১৯-০, পরাগ ৪-০-১৭-০, মানাব ৮.২-০-৩২-৩, নিশান্ত ৮-০-২০-৫, অভিষেক ৩-০-২১-১)।
ফলাফল : ভারত 'এ' দল ৫১ রানে জয়ী