বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ইংল্যান্ডের সামনে মাঝারি লক্ষ্য
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার। ইংলিশদের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়ে গৌহাটি পর্ব শেষ করবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার শেষ সুযোগটা খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি ব্যাটাররা।
আজ সোমবার (২ অক্টোবর) গোয়াহাটির বারসাপাড়া স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৭ ওভারের ম্যাচে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৮৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। যদিও বৃষ্টি আইনে ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য ১৯৭ রান।
প্রথম ম্যাচের পর চোটের কারণে দ্বিতীয় ম্যাচেও নেই নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার পরিবর্তে এই ম্যাচে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম প্রস্তুতি অবশ্য খেলেননি শান্ত।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৩১ রানের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটি গড়লেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তেমনটা হয়নি। প্রথম ওভারে ১৩ রান তুলে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। যদিও লিটন দাস পারেননি আস্থার প্রতিদান দিতে। দলীয় ১৮ রানের মাথায় রিচ টপলির লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে বাটলারকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ছয় বলে পাঁচ রান আসে এই ডানহাতির ব্যাট থেকে। লিটনের পর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। এবারও বোলিংয়ে ছিলেন সেই টপলি। দলীয় ২৬ রানে টপলির ফুলার লেন্থ ডেলিভারিতে অ্যাটকিনসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শান্ত। ১১ বল খেতে মাত্র দুই রান করেন শান্ত।
এরপর মেহেদী মিরাজকে নিয়ে জুটি গড়েন তানজিদ তামিম। এই দুই ব্যাটারের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বেশ ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। ৫২ রানের জুটি গড়ে শুরুর চাপ সামাল দিয়ে দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছিল এই জুটি। তবে দলীয় ৭৮ রানের মাথায় মার্ক উডের বলে ইনসাইড এজ বোল্ড হয়ে ফেরেন তামিম। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৪৫ রান।
তামিমের বিদায়ের পর মুশফিককে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মিরাজ। যদিও সেই জুটি অবশ্য খুব একটা বড় হয়নি। দলীয় ১০৪ রানের মাথায় আদিল রশীদের ব্যাক অফ লেন্থ ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুশফিক। নির্ভরযোগ্য এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে আট রান।
মুশফিকের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটা করতে থাকেন মিরাজ। তবে, মুশফিকের মতো মাহমুদউল্লাহও পারেননি বড় ইনিংস খেলতে। দলীয় ১৩৮ রানের মাথায় রশীদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন রিয়াদ। রশীদের ডেলিভারিতে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে লিভিংস্টোনের হাতে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহ। ২১ বলে ১৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে।এরপরই ম্যাচের ৩০তম ওভারে নামে বৃষ্টি।
প্রায় ঘন্টা তিনেকের অপেক্ষা শেষে বৃষ্টি থামলে খেলা নেমে আসে ৩৭ ওভারে। যদিও পরের ব্যাটাররা বৃষ্টির পর খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। দলীয় ১৭৩ রানের ৮৯ বলে ৭৪ রানের ইনিংস খেলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মিরাজ। এরপর দ্রুতই বাকি ব্যাটারদের হারায় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৩৭ ওভারে ১৮৮/৯ (তানজিদ তামিম ৪৫, লিটন ৫, শান্ত ২, মিরাজ ৭৪, মুশফিক ৮, মাহমুদউল্লাহ ১৮, হৃদয় ৫, মেহেদি ৩, নাসুম ০, তাসকিন ১২*, শরিফুল ৩*; টপলি ৫-১-২৩-৩, কারান ৫-০-২৩-১, উইলি ৫-১-২৬-২, ওকস ৫-০-২৫-০, উড ৩-০-৯-১, আটকিনসন ৫-০-৩১-০ রশীদ ৫-১-২৭-২, লিভিংস্টোন ২-০-১৭-০, মঈন ২-০-৭-০)।