বেহাল দশা ভারতীয় উপমহাদেশের দলগুলোর
এবারের বিশ্বকাপ শুরুর আগে আলোচনায় ছিল ইংল্যান্ডের আগ্রাসী ব্যাটিং। আলোচনায় ছিল উপমহাদেশের উইকেট। ধারণা করা হচ্ছিল, ভারতের চেনা কন্ডিশনে উপমহাদেশের দলগুলো পরীক্ষা নেবে অন্যান্য দলের। হচ্ছে এর উল্টোটা। এক ভারত ছাড়া উপমহাদেশের বাকি দেশগুলোর অবস্থা ভীষণ নাজুক। এমনকি গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার শঙ্কা চেপে ধরেছে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাকে।
সর্বশেষ ম্যাচে গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এক উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। আসরে এটি তাদের টানা চতুর্থ হার। বাংলাদেশও হেরেছে টানা চার ম্যাচে। শ্রীলঙ্কা অবশ্য ঘুরে দাঁড়িয়েছে কিছুটা। প্রথম তিন ম্যাচে টানা হারের পর শেষ দুটিতে পেয়েছে জয়ের দেখা। পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে ভারত আছে ফুরফুরে মেজাজে।
চেনা কন্ডিশনে বিশ্বকাপ হয়েও এমন অবস্থার পেছনে থাকতে পারে একাধিক কারণ। বাংলাদেশ যেমন অতিমাত্রার এক্সপেরিমেন্ট করেছে প্রায় প্রতি ম্যাচে। ব্যাটিং অর্ডারে হেরফের তো আছেই। অথচ, বিশ্বকাপ কোনো এক্সপেরিন্টের মঞ্চ নয়। সামর্থ্যের চূড়ান্ত প্রতিফলন ঘটানোর জায়গা বিশ্বকাপ। সেখানেই পিছিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
পাকিস্তান দলের সমস্যাটা ঠিক কোথায়, হয়তো তারা নিজেরাও বুঝতে পারছে না। বিশ্বকাপে এসেছে ফেভারিট হয়ে। দলীয় র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় পাকিস্তান, পাশাপাশি ব্যক্তিগত র্যাঙ্কিংয়ে সেরা ব্যাটার বাবর আজমও তাদের দলে। সঙ্গে বরাবরের মতো বিশ্বসেরা বোলিং তো আছেই। তবু, বারবার পাকিস্তান ধরা খেয়েছে দলগত পারফরম্যান্সের জায়গায়। যে কারণে হারতে হয়েছে আফগানিস্তানের কাছেও। অধিনায়ক বাবর আজম তো হতাশার সুরেই বলেছেন, ’আমাদের যেদিন ব্যাটিং ভালো হয়, সেদিন বোলিং খারাপ হয়। বোলিং ভালো হলে ফিল্ডিং হয় যাচ্ছেতাই।’
শ্রীলঙ্কার শুরুটা হয়েছে দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম দুই ম্যাচে সাড়ে তিনশর কাছাকাছি স্কোর করে হারতে হয়েছে। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ৪২৮ রান। পরের ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে রেকর্ড ৩৪৩ রান তাড়া করে। একে তো মনোবল ভেঙেছে, তার ওপর দল থেকে ছিটকে যান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। এছাড়া আসর শুরুর আগে চোটের কারণে দেশেই রেখে আসতে হয়েছে কয়েকজন তারকাকে।
উপমহাদেশের বাকি তিন দল ব্যর্থ হলেও ভারত আছে পূর্ণ ছন্দে। ঘরের মাঠের সব সুবিধাই কাজে লাগাচ্ছে তারা। এবারের আসরে শিরোপার অন্যতম দাবিদার ভারত সব বিভাগেই সেরাটা দিচ্ছে। পাশাপাশি দর্শকের বিশাল সমর্থন তো রয়েছেই।