বদলে যাওয়া আফগানদের রহস্য ভেদ করলেন শহীদি
বিশ্বকাপের মঞ্চে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানকে হারানো চাট্টিখানি কথা নয়। দলটি যদি হয় আফগানিস্তান, হয়তো বলে উঠবেন, এ নিছক দুর্ঘটনা বৈ অন্য কিছু নয়। ইংলিশ ও পাকিস্তানিদের হারানোর ধরণ দেখে থাকলে, আর টুকটাক ক্রিকেট বুঝলে কেউ জয় দুটিকে অঘটন বলবেন না।
ইংলিশদের বিপক্ষে আফগানরা পেয়েছে ৬৯ রানের জয়। তাদের করা ২৮৪ রানের জবাবে ২১৫ রানে গুটিয়ে যায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। সে ম্যাচে আট উইকেট নিয়েছিলেন আফগান স্পিনার মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান ও রশিদ খান মিলে। পাকিস্তানকে হারানো ম্যাচে আবার এর উল্টো চিত্র। ২৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জেতে আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। পুরো ম্যাচে পাকিস্তানি বোলারদের হতাশা ছাড়া কিছুই দেয়নি আফগান টপঅর্ডার। নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে পাওয়া সেই জয়ের পর তারা ভেসে যাচ্ছে প্রশংসার জোয়ারে।
বিশ্বকাপে আজ সোমবার (৩০ অক্টোবর) আফগানিস্তানের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে নামার আগে নিশ্চয়ই এশিয়া কাপের স্মৃতি ভুলবে না দুদলের কেউই। সর্বশেষ এশিয়া কাপে বীরের মতো খেলে জয় প্রায় ছিনিয়েই নিয়েছিল আফগানিস্তান। টিম অ্যানালিস্টের ভুলে শেষ পর্যন্ত জয় পাওয়া হয়নি, হয়নি এশিয়া কাপের সুপার ফোরে খেলা। আফগানরা সেদিন দেখিয়েছিল, কীভাবে পরিস্থিতি অনুযায়ী আগ্রাসী অথচ মাথা ঠান্ডা রেখে খেলতে হয়।
বিশ্বকাপে আজ আরেকটি ম্যাচ। আফগানদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে গতকাল রোববার (২৯ অক্টোবর) আফগান অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহীদি জানালেন নিজেদের বদলে যাওয়ার রহস্য। জানালেন, স্বপ্ন দেখেন সেমিতে ওঠার, তবে এগোতে চান ম্যাচ বাই ম্যাচ।
শহীদি বলেন, ‘আমাদের দলটা একদিনে তৈরি হয়নি। গত দুবছর ধরে আমরা একসঙ্গে খেলছি। নিজেদের ভুলগুলো নিয়ে কাজ করছি। কিছু ম্যাচ হেরেছি, কিছু ম্যাচ জিতেছি। কঠিন পরিশ্রম করেছে সবাই। বিশ্বকাপের এই পর্যায়ে আমরা অবশ্যই পরের ধাপে (সেমি ফাইনাল) যাওয়ার চেষ্টা করব। তার আগে প্রতিটা ম্যাচ ধরে ভালো খেলাটা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব।