‘হাথুরুসিংহেকে নিয়ে সিদ্ধান্ত এখনই নয়’
দুদিন হলো দিল্লিতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। মাঠের অনুশীলন আজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিশ্রামে কাটিয়েছেন ক্রিকেটাররা। অবশ্য টানা ছয় হারের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটীয় আলাপ এখন প্রায় অপ্রাসঙ্গিক। সেসব ছেড়ে এখন কাটাছেড়া চলছে দলের পারফরম্যান্স নিয়ে।
টানা দুদিন বিশ্রামে থাকা বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যম থেকে বেশ দূরে। আজ শুক্রবার দলের পক্ষ থেকে বিশ্বকাপ কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। নানা প্রশ্ন, ক্রিকেটীয় আলোচনা শেষে ঘুরেফিরে প্রশ্ন আসে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ভবিষ্যৎ নিয়ে।
কারণ, দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসা হাথুরুর সময়টা ভালো যাচ্ছে না মোটেই। তার অধীনে হোম সিরিজ থেকে শুরু করে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ কোনো বিভাগেই ভালো যাচ্ছে না বাংলাদেশের। বিশেষ করে বিশ্বকাপে দলের পারফর্ম তো চরম হতাশার। একের পর হার তো আছেই সেই সঙ্গে হারের ধরণ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
পরিস্থিতি যখন এই তখন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক। বিসিবি পরিচালক সুজনের কাছেও সেটাই জানতে চাওয়া। তবে, তিনি জানিয়েছেন এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নয়। সামনে বাংলাদেশের আরও দুটি ম্যাচ তার আগে কোচের প্রতি আস্থা রাখার কথাই জানালেন ডিম ডিরেক্টর।
কোচের ভবিষ্যৎ নিয়ে খালেদ মাহমুদের জবাব, ‘বিশ্বকাপ এখনও শেষ হয়নি। আমি যদি এখনই এসব নিয়ে কথা বলি তাহলে দলের প্রতি ভালো মেসেজ যাবে না। কারণ, এখনও হাথুরু আমাদের কোচ হিসেবে আছেন। সামনে আরও দুটি ম্যাচ আছে। আমাদের তার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। হয়ত বিশ্বকাপের পর বিসিবি যে কোনো সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু যা হয়েছে তা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হওয়া উচিত। আমাদের চিন্তা করা উচিত। আমরা এই বিশ্বকাপে কিছু করতে পারিনি। বিসিবিপ্রধান এখানে এসেছিলেন, তিনিও হয়ত আলোচনা করেছেন নানা বিষয় নিয়ে। উনার একটা মতামত তো অবশ্যই আছে। তবে, এখন টুর্নামেন্ট চলাকালীন এসব না বললেই ভালো। তবে সব রেখে এখন সামনের দুটি ম্যাচ জিততেই চাই। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আমি জিততেই চাই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও জিততে চাই। জানি অনেক কঠিন তবুও আমরা জিততেই চাই। কোচদের কথা বাদ দিলাম, খেলোয়াড়রা এত বছর কী খেলেছে সেটা দেখানোর উচিত ওদের।’
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের এমন পারফরম্যান্স মানতে পারছেন না সুজন নিজেও। ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স দেখে তিনি নিজেও হতাশ। জানালেন সেই কথাই, ‘হার-জিত কোনো ব্যাপার না। আমরা হারব, জিতব। কিন্তু, একসঙ্গে দলের সবাই ফল করেছে, এটি মানতে পারছি না। আগে দেখা যেত, টপ অর্ডার খারাপ করলে মিডল অর্ডার ভালো করত। ব্যাটাররা না করলে বোলাররা করত। কিন্তু, এই বিশ্বকাপে আমরা কিছুই করতে পারিনি। এমনকি নেদারল্যান্ডসের সঙ্গেও আমরা ন্যূনতম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারিনি। ছেলেরা ম্যাচগুলোতে একদমই লড়াই করতে পারেনি, এটা আসলেই অবাক করেছে আমাকে।’