৪০১ রান করা নিউজিল্যান্ডকে কাঁদিয়ে জিতল পাকিস্তান
লক্ষ্যটা ছিল পাহাড় সমান। জিততে হলে পাকিস্তানকে পাড়ি দিতে হতো ৪০১ রান। এই বিশাল রান তাড়ায় লড়াইটাও দারুণ শুরু করে পাকিস্তান। মাঝে বাগড়া দেয় বৃষ্টি। তাতে পাকিস্তানের লাভই হয়েছে। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে নিউজিল্যান্ড কাঁদিয়ে জিতে গেল বাবর আজমের দল।
বেঙ্গালুরুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ডিএল ম্যাথডে ২১ রানে জিতেছে পাকিস্তান। ম্যাচ জয়ের মূল নায়ক ফখর জামান। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেছেন তিনি। মাত্র ৮১ বলে উপহার দিয়েছেন ১২৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। যা সাজানো ছিল ৮ বাউন্ডারি আর ১১ ছক্কায়। সঙ্গে থাকা বাবর আজম খেলেছেন ৬৬ বলে ৬৩ রানের ইনিংস।
এদিন পাকিস্তানের রান তাড়ার মাঝে বৃষ্টি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তখন ম্যাচের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪১ ওভারে ৩৪২। ২৫.৩ ওভারে ১ উইকেটে ২০০ রান তোলার পর আরেক দফা বৃষ্টিতে আর খেলা হয়নি। তখন ২১ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। তাতেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় পাকিস্তানের।
এর আগে আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৪০১ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেন ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র।
টস জিতে পাকিস্তানের বোলিং নেওয়ার সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল তাই প্রমাণ করলেন কিউই ব্যাটাররা। দুই ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র ও ডেভন কনওয়ে গড়েন দারুণ এক জুটি। এই জুটিতে আসে ৬৮ রান। যদিও দলীয় ৬৮ রানের মাথায় হাসান আলীর বলে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন কনওয়ে। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৯ বলে ৩৫ রান।
কনওয়ের বিদায়ের পর কেন উইলিয়ামসনকে নিয়ে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন রবীন্দ্র। পাকিস্তানের বোলারদের কোনো সুযোগ না দিয়ে দারুণ ব্যাটিং করেন এই দুই ব্যাটার। এই জুটিতে আসে আরও ১৮০ রান। এই জুটিতেই মূলত বড় স্কোরের ভিত গড়ে কিউইরা।
দলীয় ২৪৮ রানের মাথায় ৭৯ বলে ৯৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন উইলিয়ামসন। তার বিদায়ের পর আরেক ব্যাটার রবীন্দ্র বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৯৪ বলে ১০৮ করে আউট হন তিনি। এরপর ড্যারিয়েল মিচেল ও মার্ক চ্যাপম্যান মিলে গড়েন ৫৭ রানের জুটি। শেষদিকে মিচেল স্যান্টনার ও গ্লেন ফিলিপসের ব্যাটে ৪০১ রানে থামে কিউইদের ইনিংস।