সাফল্য-ব্যর্থতায় মোড়ানো সাকিবের বিশ্বকাপ ক্যারিয়ার
দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে সাকিব বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা ক্রীড়াবিদ তো বটেই, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আধুনিক ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে। লাল-সবুজের জার্সিতে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা সাকিব ভারতের মাটিতে খেলে ফেললেন নিজের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ। কেমন ছিল সাকিবের বিশ্বকাপ অধ্যায়?
নানা সময়ে নানা ইন্টারভিউতে সাকিব জানিয়েছেন, ২০২৩ হবে তার শেষ বিশ্বকাপ। বয়সের কোটাও ৩৭ ছুঁইছুঁই। ২০২৭ বিশ্বকাপের সময় তার বয়স গিয়ে দাঁড়াবে ৪১ এ। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ওই বয়সে বিশ্বকাপ খেলাটা বেশ কঠিন। সেই বাস্তবতা মাথায় রেখেই ভারতের মাটিতে শেষটা সোনালী ট্রফি জিতেই রাঙাতে চেয়েছিলেন সাকিব। সেই স্বপ্ন অবশ্য অধরাই থেকে গেল।
চলতি বিশ্বকাপে প্রথম সাত ম্যাচের ছয়টিতে হেরে বিদায় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের। দলের পাশাপাশি সাকিব নিজেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ছিলেন বেশ মলিন। নয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকলেও ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চোটের কারণে খেলা হয়নি তার।
বিশ্বকাপে ২০০৭ থেকে ২০২৩; এই সময়কালে ৩৬ ম্যাচে ব্যাট হাতে ৪১.৬২ গড়ে ব্যাট হাতে ১৩৩২ রান করেন সাকিব। সর্বোচ্চ ১২৪ রান করেন ২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। বিশ্বকাপে সাকিবের নামের পাশে দুটি সেঞ্চুরি ও ১১টি ফিফটি রয়েছে।
পাঁচটি বিশ্বকাপ খেললেও ২০১৯ ছিল সাকিবের সেরা বিশ্বকাপ। ওই বিশ্বকাপে আট ম্যাচে ৬০৬ রানের পাশাপাশি ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন সাকিব। বিশ্বকাপে সাকিবের যে দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে, তার দুটোই ২০১৯ বিশ্বকাপে।
ব্যাটিংয়ের মতো বল হাতেও সাকিবের সাফল্য কম নয়। ৩৬ ম্যাচে ৩৬.০৬ গড়ে ৪৩ উইকেট নিয়েছেন। ২৯ রানে পাঁচ উইকেট তার সেরা বোলিং ফিগার। সেটিও ২০১৯ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের সামনে সুযোগ ছিল নিজেকে আরও একটু ওপরে নেওয়ার। তবে চোটের কারণে চলতি বিশ্বকাপে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে পারেননি সাকিব।
অবশ্য নিজের শেষ ম্যাচটা জয় দিয়ে রাঙিয়েছে তিনি। দলকে জয়ের ধারায় ফেরানোর পাশাপাশি ব্যাট হাতে খেলেন ৬৫ বলে ৮২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। আর বল হাতে ৫৭ রান দিয়ে নেন দুই উইকেট। এমন দাপুটে পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরার পুরস্কারও নিজের করে নেন।