ম্যাক্সওয়েলের ডাবল সেঞ্চুরিতে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া
ধারেভারে আফগানিস্তান থেকে বহুগুণ এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। তবুও বিশ্বকাপের মঞ্চে আফগানদের সামনেই বুকে কাঁপন ধরে গেল অসিদের। আফগান স্পিনের সামনে রীতিমতো ডুবতে বসেছিল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। তবে, শেষ পর্যন্ত বিশ্ব মঞ্চে এমন অঘটন হতে দেননি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। দলের বিপদে ঢাল হয়ে দাঁড়ান এই অলরাউন্ডার। উপহার দেন ডাবল সেঞ্চুরি। প্যাট কামিন্সকে শেষ অবদি করেন অবিশ্বাস্য লড়াই। তাতেই নিশ্চিত হয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়। আফগানদের স্বপ্ন থামিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল প্যাট কামিন্সের দল।
বিশ্বকাপের ৩৯তম ম্যাচে আজ মঙ্গলবার আফগানিস্তানকে তিন উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বিপদে থাকা দলকে জিতিয়ে নায়ক ম্যাক্স ওয়েল। ব্যাট হাতে তিনি খেলেছেন ২০১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১২৮ বলে যা সাজানো ছিল ১০টি ছক্কা ও ২১টি চারে।
মুম্বাইতে ইব্রাহিম জাদরানের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়াকে ২৯২ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় আফগানিস্তান। এই রান তাড়ায় মাত্র ৯১ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলে অসিরা।
একপর্যায়ে মনে হয়, আফগানদের কাছে জয়টা স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কিন্তু এখান থেকেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন ম্যাক্সওয়েল। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেন তিনি। লোয়ার অর্ডারকে নিয়ে দারুণ লড়াই করে দলকে নিয়ে যান জয়ের দুয়ারে। তার দৃঢ়তায় চড়ে ১৯ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাক্সওয়েল ছাড়া প্যাট কামিন্স করেন ১২ রান। এ ছাড়া সর্বোচ্চ ২৪ রান আসে মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে। বলা চলে একা হাতেই দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ম্যাক্সি!
এর আগে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ২৯১ রান করে আফগানিস্তান। ব্যাট হাতে সর্বোচ্চ ১২৯ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান।
বিশ্বকাপের শেষ চারের দৌড়ে টিকে থাকতে এই ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না আফগানিস্তানের। সেই সমীকরণ মাথায় নিয়েই অসিদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নামেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ব্যাট হাতে শুরুটাও ভালো হয় আফগানদের।
এই দুজনের ব্যাটে আসে ৩৮ রান। দলীয় ৩৮ রানের মাথায় জশ হ্যাজেলউডের বলে স্টার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন গুরবাজ। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২১ রান। গুরবাজের বিদায়ের পর রহমত শাহকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন ইব্রাহিম জাদরান। এই জুটিতে আসে ৮৩ রান।
দলীয় ১২১ রানের সময় গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে হ্যাজেলউডের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রহমত। ৪৪ বলে ৩০ রান আসে ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে। এরপর হাসমতউল্লাহ শাহিদীকে নিয়ে জুটি গড়েন জাদরান। এই জুটিতে আসে আরও ৫২ রান। দলীয় ১৭৩ রানে স্টার্কের ব্যাটে বোল্ড হয়ে ফেরেন শাহিদী। ৪৩ বলে ২৬ রান করেন তিনি।
এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে নিয়ে জুটি গড়েন জাদরান। এই জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে আফগানরা। দলীয় ২১০ রানে ওমরজাইয়ের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ১৮ বলে ২২ রান করেন তিনি। এরপর শতক তুলে নেন জাদরান। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তিনি। শেষমেশ ২৯১ রানে থামে আফগানরা।