শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখল নিউজিল্যান্ড
বিশ্বকাপে সর্বশেষ দুবারের রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড। দারুণভাবে এবারের আসরও শুরু করে তারা। টানা চার ম্যাচ জয়ের পর হারে পরের চারটিতে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) নিউজিল্যান্ড মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কার। লঙ্কানদের পাঁচ উইকেটে হারিয়ে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে সেমি ফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে নিউজিল্যান্ড।
আগে ব্যাট করে ৪৬.৪ ওভারে ১৭১ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। জবাবে ২৩.২ ওভারে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৭২ রান তোলে কিউইরা।
নিউজিল্যান্ডের লক্ষ্যটা বড় ছিল না। ওপেনিং জুটিতে ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র মিলে ১২.২ ওভারে ৮৬ রান তুললে ম্যাচ আরও সহজ হয়ে যায় তাদের জন্য। ৪২ বলে ৪৫ রান করে দুশমন্থ চামিরার বলে আাউট হন কনওয়ে। পরের ওভারে মাহিশ থিকসানার শিকারে পরিণত হন ৩৪ বলে ৪২ রান করা রবীন্দ্র। দুই ওপেনারকে হারালেও কিউইরা ব্যাট চালিয়েছে আপন গতিতেই।
তবে, এ ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন কেন উইলিয়ামসন। ১৪ রানে বোল্ড হন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের বলে। এরপর ড্যারিল মিচেলের ৩১ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে জয়ের আরও কাছাকাছি পৌঁছায় কিউইরা। শেষ পর্যন্ত ১৬০ বল ও পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে নিউজিল্যান্ড।
লঙ্কানদের হয়ে ম্যাথিউস পান দুই উইকেট। একটি করে উইকেট নেন চামিরা ও থিকসানা।
দিনের শুরুতে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টসে জিতে বোলিং বেছে নেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সঠিক প্রতিফলন ঘটিয়েছেন কিউই বোলাররা। ইনিংসে দ্বিতীয় ওভারেই লঙ্কান ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে দেন টিম সাউদি। উইকেটের পেছনে টম লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে দুই রানে আউট হন নিশাঙ্কা।
অপর ওপেনার কুশল পেরেরা এবারের বিশ্বকাপে লঙ্কানদের পক্ষে দ্রুততম অর্ধশতক তুলে নেন। ২৮ বলে ৯টি চার ও দুই ছক্কায় ৫১ রানে থামে তার ইনিংস। মিচেল স্যান্টনারের ক্যাচ বানিয়ে তাকে সাজঘরে ফেরান লোকি ফার্গুসন।
পেরেরা আউট হওয়ার পর দ্রুতই উইকেট হারায় লঙ্কানরা। স্কোরবোর্ডে ১০৪ রান উঠতে নেই ছয় উইকেট। সেখান থেকে থিকসানার ৯১ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ধৈর্যশীল ইনিংস লঙ্কানদের দেড়শ রান পার করতে সাহায্য করে। শেষ পর্যন্ত ১৭১ রানের সাদামাটা সংগ্রহে থামে শ্রীলঙ্কার ইনিংস।
নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তিন উইকেট শিকার করেন বোল্ট। দুটি করে উইকেট পান ফার্গুসন, রবীন্দ্র ও স্যান্টনার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ৪৬.৪ ওভারে ১৭১/১০। (নিশাঙ্কা ২, পেরেরা ৫১, মেন্ডিস ৬, সাদিরা ১, আসালাঙ্কা ৮,ম্যাথিউস ১৬, ডি সিলভা ১৯, করুনারত্নে ৬, থিকসানা ৩৮* , চামিরা ১, মাদুশাঙ্কা ১৯ ; বোল্ট ১০-৩-৩৭-৩, সাউদি ৫-০-৪৩-১, ফার্গুসন ১০-২-৩৫-২, স্যান্টনার ১০-২-২২-২, রবীন্দ্র ৭.৪-০-২১-২, ফিলিপস ১-০-৩-০)
নিউজিল্যান্ড : ২৩.২ ওভারে ১৭২/৫। (কনওয়ে ৪৫, রবীন্দ্র ৪২, উইলিয়ামসন ১৪, মিচেল ৪৩, চ্যাপম্যান ৭, ফিলিপস ১৭*, লাথাম ২*; মাদুশাঙ্কা ৬.২-০-৫৮-০, থিকসানা ৭-০-৪৩-১, ডি সিলভা ২-০-২২-০, চামিরা ৪-১-২০-১, ম্যাথিউস ৪-০-২৯-২)
ফল : নিউজিল্যান্ড পাঁচ উইকেটে জয়ী।