রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারাল কলকাতা
ম্যাচ অনেকটাই কলকাতার নিয়ন্ত্রণে ছিল। ইডেন গার্ডেন্সের জনসমুদ্রে জয়ের প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছিল ভক্তরা। হঠাৎ ইডেনের সাজানো প্রায় বাগান তছনছ করে দিচ্ছিলেন হেনরিক ক্লাসেন। ক্রিজে রীতিমতো সুনামি তোলেন তিনি। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ ওভারে এসে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের প্রয়োজন ১৩ রান। ইনফর্ম ক্লাসেন ক্রিজে। হারশিদ রানা সেই লক্ষ্য পূরণ করতে দিলেন না ক্লাসেনকে। ক্লাসেন ও শাহবাদ আহমেদকে ফিরিয়ে কলকাতাকে এনে দেন চার রানের জয়।
চলতি আইপিএলের প্রথম ম্যাচে শনিবার (২৩ মার্চ) ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের মুখোমুখি হয়েছে কলকাতা। ঘরের মাঠে দর্শকদের হতাশ করেনি কেকেআর। জয় দিয়েই শুরু করেছে আইপিএলের ১৭তম আসর। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে সাত উইকেটে ২০৮ রান করে কলকাতা। জবাবে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে হায়দরাবাদ থামে ২০৪ রানে।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদের শুরুটাও হয় ঝড়ের গতিতে। দুই ওপেনার মিলে ৫.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা করেন ৬০ রান। ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়ালের ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ৩২ রান। অপর ওপেনার অভিষেক শর্মা করেন ১৯ বলে ৩২। মায়াঙ্ককে ফেরান হারশিত রানা, অভিষেকের ঝড় থামান আন্দ্রে রাসেল। দুই ওপেনারকে হারিয়ে কিছুটা দমে যায় দক্ষিণ ভারতের দল হায়দরাবাদ। তবে, ১৩ বলে ২০ রান করে এইডেন মার্করাম বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন। তাকে ফিরিয়ে কেকেআরকে স্বস্তি এনে দেন ভরুণ চক্রবর্তী।
২০ রান করা রাহুল ত্রিপাঠি শিকার হন সুনিল নারিনের। চার উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া হায়দরাবাদ চেষ্টা চালিয়েছিল শেষ পর্যন্ত। সফল হতে পারেনি। হেনরিক ক্লাসেনের ২৯ বলে আট ছক্কায় ৬৩ রান বাড়িয়েছে দর্শকের উৎকন্ঠা। ম্যাচ জমিয়েও শেষ ওভারে ডুবেছে হায়দরাবাদের সূর্য। কলকাতার পক্ষে তিন উইকেট নেন রানা। রাসেল পান দুই উইকেট।
এর আগে ব্যাট হাতে কেকেআরের হয়ে দারুণ শুরু এনে দেন ফিল সল্ট। ৪০ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। এরপর হায়দরাবাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খেই হারায় দলটি। তবে, রমনদিপ সিংয়ে ১৭ বলে ৩৫ রান কলকাতাকে ম্যাচে ফেরায়। আর শেষ দিকে নেমে রাসেলের টর্নেডো ইনিংসে এলোমেলো হয়ে যায় হায়দরাবাদ। তার ২৫ বলে তিনটি চার ও সাতটি ছক্কায় অপরাজিত ৬৪ রানে কলকাতা পায় ২০০ ছাড়ানো বিশাল পুঁজি। ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেয় রাসেলের এই ইনিংসটিই। গত আইপিএলের আবিষ্কার রিঙ্কু সিংয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ২৩ রান। হায়দরাবাদের হয়ে নটরাজ নেন তিন উইকেট, মায়াঙ্ক পান দুটি।