মুস্তাফিজের ছন্নছাড়া বোলিং ছাপিয়ে চেন্নাইয়ের জয়
আইপিএলে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলেন না মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম কটি ম্যাচে বল হাতে দারুণ ছন্দে থাকা এই পেসার কিনা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে খেই হারালেন। মুস্তাফিজের ছন্নছাড়া বোলিংয়ের ম্যাচে পাথিরানার কল্যাণে দারুণ জয় তুলে নিয়েছে ধোনিরা।
গতকাল রোববার (১৪ এপ্রিল) মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নামা চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও শিবম দুবের ফিফটিতে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২০৬ রান তোলে। জবাবে রোহিত শর্মার আইপিএল ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির পরও ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রানে আটকে যায় মুম্বাই।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা দারুণ হয় মুম্বাইয়ের। ৭ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৭০ রান তুলে ফেলে তারা। মাথিশা পাথিরানা অষ্টম ওভারে জোড়া আঘাত হানলে খেই হারায় মুম্বাই। ইশান কিষাণ ও আগের ম্যাচে প্রশংসা কুড়ানো ব্যাটার সূর্যকুমার যাদবকে সাজঘরে ফেরান এই লঙ্কান পেসার।
যদিও যাদবের উইকেটের কৃতিত্বটা মুস্তাফিজকে দেওয়া যায়। কেননা ডিপ থার্ড বাউন্ডারিতে চোখ ধাঁধানো ক্যাচ নেন ফিজ। বাউন্ডারির সামনে দুই হাতে বল ধরলেও ভারসাম্য হারাতে বসলে বল উপরের দিকে ছুঁড়ে মারেন। বাউন্ডারির ওপর থেকে লাফিয়ে আবার বল লুফে নেন বাংলাদেশি ক্রিকেটার।
জোড়া ধাক্কা খেলেও একপ্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন রোহিত শর্মা। তিলক ভার্মার সঙ্গে গড়েন ৬০ রানের জুটি । তবে, ফের পাথিরানার আঘাত। এবার ৩১ করে সাজঘরে ফেরেন ভার্মা। এই জুটি ভাঙার পর আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি মুম্বাই। রোহিত ৬৩ বলে ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকলেও জেতাতে পারেননি দলকে।
বোলিংয়ে মুস্তাফিজ ১ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন ৫৫ রান, যা তার আইপিএলে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় বাজে বোলিং ফিগার। ২০১৮ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষেও তিনি ৫৫ রান দিয়েছিলেন। সে ম্যাচে ছিলেন উইকেটশূন্য।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও শিবম দুবের ৯০ রানের জুটিতে বড় স্কোরের আভাস দিয়েছিল চেন্নাই। তাই বলে দুইশ হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা ছিল না। তবে, ডেথ ওভারে বাজে বোলিংয়ের মাশুল দেয় মুম্বাই। শেষ ৫ ওভারে ৫৭ রান করে চেন্নাই। মূলত মহেন্দ্র সিং ধোনি শেষ ওভারে তিন ছক্কায় স্কোর দুইশ পার করেন। এ জয়ে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থান পাকাপোক্ত করেছে চেন্নাই। ৪ পয়েন্টে আটকে থাকা মুম্বাই নেমে গেছে আট নম্বরে।