তবে কি শেষ ক্রিকেটার ধোনির অধ্যায়?
মহেন্দ্র সিং ধোনি চেষ্টা করেছিলেন শেষ পর্যন্ত। ১৩ বলে ২৫ রানের ইনিংসে যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, চেন্নাই সুপার কিংসের ভক্তরা আশায় ছিলেন। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দেওয়া ২১৯ রানের লক্ষ্যে চেন্নাই ২০০ পার করতে পারলেই নিশ্চিত হতো পরের পর্ব। ১৯ ওভার শেষে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ ছয় উইকেটে ১৮৪। ধারাভাষ্য কক্ষ থেকে ভেসে আসছিল, চেন্নাই ১৭ রান করলেই নিশ্চিত হবে প্লে-অফ।
ব্যাটিংয়ে ধোনি। যশ দয়ালের করা প্রথম বলেই পুল করলেন, ছক্কা মেরে ওভার শুরু করলেন ক্যাপ্টেন কুল। পরের বলটা স্লোয়ার ফেললেন দয়াল। ধোনির শট স্কয়ার লেগে স্বপ্নীল সিংয়ের হাতে। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের একপ্রান্তে তখন উল্লাস, অন্যপ্রান্ত নিরব। যতটা চেন্নাইয়ের উইকেট পতনে, তারচেয়ে ঢের বেশি আউট হওয়া ব্যক্তির শোকে। ধোনি আউট, মাঠ ছাড়ছেন। বহুবার এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। কিন্তু, এটি সম্ভাব্য শেষবার!
ধোনি আর চেন্নাই একে অপরের সমার্থক। ২০০৮ সালে শুরু হওয়া আইপিএলে চেন্নাইয়ের হলুদ জার্সি গায়ে চাপান ধোনি। ১৭ বছর ধরে একই জামায় নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। চেন্নাইকে জিতিয়েছেন যৌথ সর্বোচ্চ পাঁচটি শিরোপা। বয়স ৪৩ চলছে। চলতি আসরে অনেকটা অনুরোধেই খেলেছেন আইপিএল। শেষ বেলায়ও কী দুর্দান্ত তিনি। আশা-ভরসার কেন্দ্রে ছিলেন। তার আউটে থমকে গেছে ইয়োলো আর্মিরা। জয়-পরাজয় তাদের কাছে তুচ্ছ। ধোনি মাঠ ছাড়ছেন, আর ফিরবেন না। ধারাভাষ্যকার বলে যাচ্ছেন, কে জানে শেষবারের মতো মাঠ থেকে চলে যাচ্ছেন কি না ধোনি!
আইপিএলে গতকাল বাঁচা-মরার লড়াইয়ে মাঠে নামে বিরাট কোহলির আরসিবি ও ধোনির চেন্নাই। ম্যাচটি ২৭ রানে হারে চেন্নাই। বাদ পড়ে গ্রুপপর্ব থেকে। আর টানা ছয় জয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করে আরসিবি।
এর আগে গত ১২ মে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে মাঠে নামে চেন্নাই। ঘরের মাঠ এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে জয় পেয়েছিল দলটি। মৌসুমে এই মাঠে সেটিই ছিল চেন্নাইয়ের শেষ ম্যাচ। সম্ভবত ধোনিরও। ম্যাচের পর তাই পুরো মাঠ ভিক্টোরি ল্যাপ দিয়ে ভক্তদের ভালোবাসার জবাব দিয়েছিলেন। স্মারক হিসেবে ভক্তদের দিকে ছুঁড়ে মেরেছিলেন টেনিস বল।