লজ্জার রেকর্ড গড়ে প্রোটিয়াদের কাছে হারল শ্রীলঙ্কা
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো সাবেক চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমে এই সংস্করণে নিজেদের সর্বনিন্ম রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা পেল লঙ্কানরা। সেই সঙ্গে যুক্ত হলো হার। প্রোটিয়াদের কাছে হেরে নিজেদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করল হাসারাঙ্গার দল।
বিশ্বকাপের চতুর্থ ম্যাচে সোমবার (৩ জুন) দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে শ্রীলঙ্কা। এই হারের দিনে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। যা এই সংস্করণে তাদের সর্বনিন্ম। টি-টোয়েন্টিতে দলটির আগের সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ৮২। সেটি ছিল ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে।
বিশ্বকাপের আগে মাত্র কয়েক মাসে নিউইয়র্কে বানানো ক্রিকেটের প্রথম অস্থায়ী স্টেডিয়াম নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। এই মাঠের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচও এটি। কিন্তু প্রথম ম্যাচে এত রান খরা হবে সেটা ভাবতে পারেনি কেউই।
দুদলকেই রান নিতে ভুগতে হয়েছে। আগে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কা ১৯.১ ওভার টিকে থেকেও করেছে মাত্র ৭৭ রান। যার জবাব দিতে নেমে সংগ্রাম করেছে দক্ষিণ আফ্রিকাও। ১৬.২ ওভার ব্যাট করে ২২ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয় তারা।
এদিন ড্রপ-ইন পিচে প্রথম ৩ ওভারে বিনা উইকেটে ১৩ রান করে শ্রীলঙ্কা। এরপরই শুরু হয় উইকেট হারানোর মিশন। যার শুরুটা করেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে স্রেফ দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা পেসার ওটনিয়েল বার্টমান। যিনি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান পাথুম নিসাঙ্কাকে ফিরিয়ে। ৮ বল খেলে তিন রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
এরপর উইকেট উদযাপনে মাতেন নরকিয়া। নিজের কোটার ৪ ওভারে স্রেফ ৭ রানে ৪ উইকেট নেন নরকিয়া। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকান কোনো বোলারের সেরা বোলিং ফিগার এটি। এ ছাড়া দুটি করে উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা ও কেশব মাহারাজ। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন কুশল মেন্ডিস। ১৬ রান করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।
রান তাড়ায় নেমে মন্থর ছিল দক্ষিণ আফ্রিকাও। তবে ছোট লক্ষ্য হওয়াতে শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২০ রান করেন কুইন্টন ডি কক। ১৯ রান আসে ক্লাসেনের ব্যাট থেকে।