ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রান পাহাড়ে চড়ল অস্ট্রেলিয়া
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের চলমান আসর অনেকটাই ম্যাড়ম্যোড়ে হয়ে আসছে। সেই প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা টি-টোয়েন্টিসুলভ খেললেও বাকি প্রায় সবগুলো ম্যাচই হয়েছে অল্প রানের। চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি দেখার যে আক্ষেপ দর্শকদের, সেটি অনেকটাই মিটিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে অসিরা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শনিবার (৮ জুন) ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২০১ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। চলতি আসরে কোনো দলের এটিই প্রথম ২০০ ছাড়ানো ইনিংস।
ম্যাচের প্রথম ওভার থেকেই শুরু হয় অসি ব্যাটারদের আগ্রাসন। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড মিলে ওপেনিং জুটিতে পাঁচ ওভারে তোলেন ৭০ রান। এরমধ্যে মার্ক উডের এক ওভারে তিনটি ছক্কা ও একটি চারে ২২ রান নেন ওয়ার্নার। আগ্রাসী ওয়ার্নারকে থামান মঈন আলী। লোয়ার ডেলিভারিতে মিডল স্টাম্প ভাঙেন ওয়ার্নারের। আউট হওয়ার আগে অসি ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ৩৯ রানের ঝড়।
১৮ বলে ৩৪ রান করা হেডকে বোল্ড করেন জোফরা আর্চার। দুই ওপেনার ফিরলেও থামেনি অস্ট্রেলিয়ার আগ্রাসন। অধিনায়ক মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ৩৫ রানের ইনিংস। লিয়াম লিভিংস্টোনের বলে জস বাটলার তাকে স্ট্যাম্পড করেন। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন পুরো আইপিএলে। ইংলিশদের বিপক্ষে অবশ্য রানে ফিরেছেন তিনি। তবে, ২৮ রান করতে খেলেছেন ২৫ বল। ম্যাক্সওয়েলের নামের পাশে যা অনেকটা বেমানান। আদিল রশিদের বলে ডিপ মিড উইকেটে ফিল সল্টের হাতে ধরা পড়েন ম্যাক্স। মাঝে ক্রিস জর্ডানের বলে লিভিংস্টোনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টিম ডেভিড। আট বলে ১১ রান করেন টিম।
শুরুর মতো শেষেও রানের চাকা সমানতালে সচল রাখে অস্ট্রেলিয়া। মার্কাস স্টয়নিস ও ম্যাথু ওয়েডের ব্যাটে অসিরা একটু একটু করে করে চড়ে রান পাহাড়ে। দুজনে মিলে ১৭ বলে গড়েন ৩২ রানের জুটি। জর্ডানের বলে হ্যারি ব্রুকের ক্যাচ হওয়ার আগে স্টয়নিসের ব্যাট থেকে আসে ১৭ বলে ৩০ রান। এই উইকেটে নিজের শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি উইকেট তুলে নেন জর্ডান। ৯ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়েড।
ইংল্যান্ডের পক্ষে জর্ডান দুটি এবং একটি করে উইকেট নেন মঈন, আর্চার, রশিদ ও লিভিংস্টোন।