কানাডার প্রতিরোধ ভেঙে বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল পাকিস্তান
হারলেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত। জিতলে টিকে থাকবে সুপার এইটে যাওয়ার ক্ষীণ আশা। এমন সমীকরণের ম্যাচে সুযোগ হাতছাড়া করল না পাকিস্তান। চমক দেখানো কানাডার প্রতিরোধ ভেঙে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল বাবর আজমের দল।
বিশ্বকাপের ২২তম ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে সাত উইকেটে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। নিজেদের শুরুর ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হারের পর ভারতের কাছেও ধাক্কা খায় পাকিস্তান। অবশেষে এলো স্বস্তির জয়। তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম পয়েন্টের দেখা পেল বাবর আজমের দল।
চাপে থাকা পাকিস্তানের বিপক্ষে সুযোগ লুফে নিতে চেয়েছিল কানাডা। তবে, হারিস রউফ-মোহাম্মদ আমিরদের বোলিং টপকে কানাডা পারল না বড় পুঁজি গড়তে। নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১০৬ রান সংগ্রহ করে কানাডা।
আজ মঙ্গলবার টস জিতেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। টস ভাগ্য জিতে বেছে নেন বোলিং। আগে বোলিং নিয়ে অবশ্য কানাডাকে অল্পতেই থামিয়ে দেন নাসিমরা। কানাডার হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেছেন অ্যারন জনসন। ৪৪ বলে তার ইনিংস সাজানো ছিল চারটি করে ছক্কা-চারে। বাকিরা কেউই ২০ এর ঘর পার করতে পারেননি। অধিনায়ক সাদ বিন জাফর থামেন ২১ বলে ১০ রান করে।
বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন আমির ও হারিস রউফ। একটি করে নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি ও নাসিম শাহ।
এদিন টানা দুই বলে দুই উইকেট শিকারের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেটের মাইলফলকে পৌছান পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফ। দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে একশ উইকেট শিকারিদের তালিকায় তৃতীয় দ্রুততম হারিস।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলীয় ২০ রানে হারায় সায়েম আয়ুবকে। মাত্র ৬ রান করে কট এন্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন সায়েম।
এরপর জুটি গড়ার দায়িত্ব নেন বাবর ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এই জুটিতেই জয়ের পথে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। মাঝে বাবরকে ৩৩ রানে বিদায় করে পাকিস্তানকে খানিকটা চাপে ফেলে কানাডা। ৩৩ বলে ৩৩ রান করে বাবর ফেরার পর বাকিপথ পাড়ি দেন রিজওয়ান। তার ব্যাটে চড়েই ১৫ বল হাতে রেখেই জয়ের নাগাল পেয়ে যায় পাকিস্তান। ৫২ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি ছোঁয়া রিজওয়ান শেষ পর্যন্ত ৫৩ রান করেন। ৫৩ বলে তার ইনিংসে ছিল দুটি চার ও একটি ছক্কা।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই অঘটনের শিকার হয়েছেন বাবর আজমরা। এরপর ভারতের কাছে হেরে সুপার এইটে ওঠাই এখন যদি-কিন্তুর ওপর নির্ভর করছে। যদিও এই ম্যাচের জয় এবার কিছুটা হলেও পাকিস্তানের আশা বাঁচিয়ে রাখল।