রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমির পথে দক্ষিণ আফ্রিকা
দাঁতে দাঁত চেপে লড়েছে ইংল্যান্ড। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। ক্রিজে থাকা হ্যারি ব্রুক ফিফটি পেরিয়ে ইংলিশদের আশার বাতিঘর হয়ে ছিলেন। কিন্তু, এনরিখ নরকিয়া প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরান ব্রুককে। তাতে পিছিয়ে পড়া ইংলিশরা আর ব্যবধান কমাতে পারেনি। সাত রানের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন সামি স্টেডিয়ামে সুপার এইটের ম্যাচে শুক্রবার (২১ জুন) টস হেরে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৬৩ রান তোলে দলটি। জবাবে ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৫৬ রানে থামে ইংল্যান্ড।
খুব বড় যে লক্ষ্য ছিল তেমন নয়। তবে, শুরু থেকেই ইংলিশদের চাপে রাখে প্রোটিয়ারা। ১১ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৬৪ রান তুলতেই নেই চার উইকেট। দলীয় ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ওপেনার ফিল সল্ট ১১ রান করে শিকার হন কাগিসো রাবাদার। অপর ওপেনার অধিনায়ক জস বাটলার ১৭ রান করে কেশব মহারাজের বলে আউট হন। একটা সময় মনে হচ্ছিল, ইংলিশদের বুঝি অনায়াসেই হারাবে প্রোটিয়ারা।
সেখান থেকে হ্যারি ব্রুক দায়িত্ব নেন। ইংল্যান্ডের এই তারকা দেখেশুনে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেন অনেকটাই। ৩৭ বলে ৫৩ রান করা ব্রুকই শেষ অবধি জমিয়ে তোলেন ম্যাচ। ১৭ বলে ৩৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে ইংল্যান্ডকে জয়ের কাছাকাছি এনে দেন লিয়াম লিভিংস্টোন। তাকে তুলে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন রাবাদা। এরপর শেষ ওভারের রুদ্ধশ্বাস নাটক। মাত্র ছয় রান দিয়ে এক উইকেট তুলে যেখানে নায়ক বনে যান নরকিয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে রাবাদা ও মহারাজ নেন সমান দুটি করে উইকেট। এই জয়ে সুপার এইটের গ্রুপ দুই থেকে সেমি ফাইনাল প্রায় নিশ্চিতই বলা চলে দক্ষিণ আফ্রিকার।
এ দিন ব্যাটিংয়েও শুরুটা দুর্দান্ত করেছিলেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার। কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেনড্রিকসের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৮৬ রান। একদিকে রেজা দেখেশুনে খেলছিলেন, অন্যদিকে ব্যাটে ঝড় তোলেন ডি কক। জুটি ভাঙে মঈন আলীর বলে রেজা বিদায় নিলে। আউট হওয়ার আগে ২৫ বলে ১৯ করেন তিনি।
সমান চারটি করে চার ও ছক্কার মারে ৩৮ বলে ৬৫ রান করেন ডি কক। সুপার এইটের দুই ম্যাচেই ফিফটির দেখা পেলেন তিনি। তার ইনিংস থামে জোফরা আর্চারের শিকার হয়ে। হেনরিখ ক্লাসেন খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ১৩ বলে আট রান করে রানআউট হন। এতে খানিকটা কমে আসে প্রোটিয়াদের রানের চাকা।
ডেভিড মিলার ফের ট্র্যাকে ফেরান দলকে। ২৮ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কায় ৪৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ভয়ংকর হয়ে ওঠা মিলারকে থামান আর্চার। প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম আদিল রশিদের স্পিনে বোল্ড হন মাত্র এক রানে। ভেঙে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংকে চেপে ধরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ইংল্যান্ড। শুরুতে বড় সংগ্রহের আশা জাগিয়েও তাই ব্যর্থ হয় আফ্রিকা।
ইংলিশদের পক্ষে আর্চার তিনটি এবং মঈন ও রশিদ একটি করে উইকেট নেন।