ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাঁদিয়ে সেমিতে দক্ষিণ আফ্রিকা
ক্রিকেটকে বলা হয় গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা! যেখানে ক্ষণে ক্ষণে বদলায় রং, ঘুরে যায় ম্যাচের চেহারা। যার বড় উদাহরণ দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচ। যে ম্যাচে প্রোটিয়াদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ক্যারিবীয়রাও সমানে ক্রিকেট খেলেছেন। যদিও শেষ হাসি হাসতে পারেনি। বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে আরও একবার স্বপ্নভঙ্গ হলো দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
আজ সোমবার (২৪ জুন) অ্যান্টিগার স্যার রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৩৫ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে, বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ১৬.১ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩ উইকেটের জয়ে শীর্ষে থেকেই সেমি নিশ্চিত করল প্রোটিয়ারা।
১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল দুই ওপেনার কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেনরিকস। তবে, দ্বিতীয় ওভারেই রানের খাতা না খুলেই রাসেলের বলে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটার। তার বিদায়ের পর একই ওভারে ডি কককে ফেরান রাসেল। ৭ বলে ১২ রানের বেশি আসেনি তার ব্যাট থেকে।
এরপরই বৃষ্টির হানা। প্রায় ঘণ্টা খানেক বন্ধ থাকে খেলা। যার ফলে কাটা পড়ে ৩ ওভার। ১৭ ওভারে প্রোটিয়াদের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রান। সেই লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ৪২ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন এইডেন মার্করাম। ১৫ বলে ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। সেই চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নেন ত্রিস্টান স্টাবস ও হেনরিখ ক্লাসেন। এই জুটিতে যোগ হয় আরও ৩৫ রান।
দলীয় ৭৭ রানের মাথায় ক্লাসেনের বিদায়ে বড় ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ বলে ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন তিনি। এরপর দলীয় ৯৩ রানে আরেক বিশ্বস্ত ব্যাটার ডেভিড মিলারের বিদায়ে বিপাকে পড়ে দলটি। ১৪ বলে মাত্র ৪ রান করেন তিনি। শেষ ৩০ বলে তখন প্রয়োজন ২৯ রান।
যে বিপদ আরও বাড়ে স্টাবসের বিদায়ে। দলীয় ১০০ রানে বিদায় নেন এই ব্যাটার। পুরো চিত্র একাই বদলে দেন স্পিনার রোস্টন চেজ। মাত্র দুই ওভারেই তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। শেষমেশ লেজের সারির ব্যাটারদের দৃঢ়তায় জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। দলীয় ২ রানের মাথায় শাই হোপের উইকে হারায় দলটি। এরপর ৫ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ব্যাটার নিকোলাস পুরাণ। শুরুতে এই দুই উইকেট হারালেও পরবর্তীতে দারুন এক জুটি গড়ে ক্যারিবীয়রা। ৮১ রানের জুটি গড়েন কাইল মায়ার্স ও রোস্টন চেজ। ৩৪ বলে ৩৫ রান করে ফেরেন মায়ার্স।
আর তার বিদায়ের পর ফেরেন আরেক ব্যাটার রোভম্যান পাওয়েল। ২ বলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে শেষমেশ ১৩৫ রানে থামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন স্পিনার তাবরিজ শামসি।