জাকেরের নায়কোচিত ব্যাটিং, ক্যারিবীয়দের কঠিন লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ
লক্ষ্যটা ২৮৭। আপাতদৃষ্টিতে খুব বড় কোনো সংগ্রহ মনে না হলেও কিংসটনে এই রান তাড়া করাই বড় চ্যালেঞ্জ স্বাগতিকদের জন্য। কেননা কিংস্টনে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২১২ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। এবার ভাঙতে হবে সেই রেকড।
নাহিদ রানার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ১৮ রানের লিড পাওয়ার পর আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে জ্যামাইকা টেস্টে অনেকটাই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। এক প্রান্ত আগলে রেখে জাকির আলীর দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ৫৯.৫ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ২৬৮ রান করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ৯১ রান করেন জাকের। যা তার ক্যারিয়ারসেরা।
যদিও দিনের শুরুটা ভালো হয়নি, প্রথম ৮ ওভারের মাথায় সাজঘরে ফেরেন দুই ব্যাটার তাইজুল ইসলাম ও মুমিনুল হক। চতুর্থ দিনের শুরু থেকে রয়েসয়ে খেলছিলেন জাকের আলী ও তাইজুল ইসলাম। তবে মারার মতো বল পেতেই বাউন্ডারি আদায় করে নেন জাকের। আলজারি জোসেফের ফুল লেংথের বলটা ফ্লিক করে মিড উইকেট দিয়ে চার মারেন জাকের। দিনের প্রথম বাউন্ডারিতে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের রানও ২০০ পেরোয়।
এরপরই খেই হারান তাইজুল। পেসার আলজারি জোসেফের বাড়তি বাউন্সার সামলাতে পারেননি। বুকের ওপর তাক করা বাউন্সারে ব্যাট সরাতে পারেননি তাইজুল। বল ব্যাটের চুমু খেয়ে যায় প্রথম স্লিপে হজের হাতে। ৫০ বলে ১৪ রান যোগ করে লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যান ফেরেন সাজঘরে। উইকেটে নতুন ব্যাটার হিসেবে নামেন মুমিনুল হক। ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম আটে ব্যাটিংয়ে নামেন মুমিনুল। কেমার রোচের বলটা যাচ্ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে। ড্রাইভ করতে গিয়ে ঠিকঠাক হলো না মুমিনুলের। প্রথম স্লিপে কাভেম হজের হাতে ক্যাচ গেল। প্রথম ইনিংসের মতো এই ইনিংসেও রানের দেখা পেলেন না মুমিনুল।
বাংলাদেশের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার কারিগর হলেন নাহিদ রানা। জ্যামাইকায় গতির ঝড় তুলে একাই তুলে নেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে এই প্রথম ফাইফার পূর্ণ করেন রানা। এজন্য ডানহাতি এই পেসারকে খরচা করতে হয়েছে ৬১ রান।