হোয়াইটওয়াশ এড়াতে তিনশ ছাড়ানো সংগ্রহ বাংলাদেশের
ক্রিকেটের পুরোনো শক্তিগুলোর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই ওয়ানডে সিরিজে সাফল্যটাকে নিয়ম বানিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে, এবার সেই পরিসংখ্যান বদলে দিল ক্যারিবীয়রা। প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ হার নিশ্চিত। শেষ ওয়ানডেতে তাই ধবলধোলাই এড়াতে লড়ছে বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিং করে স্বাগতিকদের বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল ফিল সিমন্স শিষ্যরা।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২১ রান করে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে সবচেয়ে বেশি ৮৪ রান আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে বল হাতে ২টি উইকেট নেন আলজারি জোসেফ।
ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। তৃতীয় ওভারে তিন বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আলজারি জোসেফের করা দ্বিতীয় বলে পুল শট করতে গিয়ে বল ওপরে তুলে রাদারফোর্ডের সহজ ক্যাচে পরিণত হন তানজিদ হাসানভ। ৫ বল খেললেও পারেননি রানের খাতা খুলতে। এরপর ব্যাট করতে নামা লিটন দাস নিজের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়েছেন ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে। লিটনও ২ বল খেললেও পারেননি রানের খাতায় নাম লেখাতে।
৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জুটি গড়েন সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের পাল্টা আক্রমণে কিছুটা চাপমুক্ত হয় বাংলাদেশ। সময়ের সাথে জুটি বড় হয় তাদের। একটা সময় ফিফটি তুলে নেন দুজনই। গড়েন ১৩৬ রানের জুটি। দলীয় ১৪৫ রানের সময় সৌম্যর বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।
জেডিয়া ব্লেডসকে পরপর দুটি চার মারার পর গুডাকেশ মোটিকে ছক্কায় ওড়ালেন সৌম্য সরকার। তবে এরপর আর টিকলেন না। ছক্কার পরের বলে ব্যাকফুটে বাঁহাতি স্পিনারকে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হয়ে গেলেন তিনি। আম্পায়ার আউট দেওয়ার পর রিভিউ নেন সৌম্য। তবে কাজ হয়নি, বল আঘাত হানত লেগ স্টাম্পে। ভাঙে ১২৭ বল স্থায়ী ১৩৬ রানের জুটি। ৭৩ বলে চার ছক্কা ও ছয় চারে সৌম্য করেন ৭৩ রান।
এরপর ক্রিজে আসেন আফিফ। তবে, জুটি গড়তে পারেননি তিনি। দলীয় ১৭১ রানের সময় ডিফেন্সিভ শট খেলে সিঙ্গেল নেন আফিফ। নন স্ট্রাইক থেকে স্ট্রাইক প্রান্তে পৌঁছানোর আগেই রাদারফোর্ডের থ্রোতে রান আউট মিরাজ। ৭৩ বলে ৭৭ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। মিরাজের বিদায়ের পর টিকতে পারেননি আফিফ। পরের ওভারেই ফেরেন তিনি। ২৯ বলে ১৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
মিরাজের বিদায়ের পর রানের গতি কিছুটা কমে গেলেও শেষদিকে মাহমুদউল্লাহ-জাকের জুটিতে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। এই জুটিতে যোগ হয় ১৫০ রান। টানা তৃতীয় ম্যাচে ফিফটি তুলে নিলেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বয়স ৩৮ হলেও এখনও যে ফুরিয়ে যাননি সেটাই প্রমাণ করে যাচ্ছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ৪৮ বলে তুলে নেন ফিফটি। আর জাকির ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়ানডে ফিফটি তুলে নেন ৫৩ বলে। শেষমেশ ৩২১ রানে থামে বাংলাদেশ। মাহমুউল্লাহ ৮৪ ও জাকের ৬২ রান করেন।