তামিমের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে বরিশালের সহজ জয়
এমন তামিমকে অনেকদিন দেখেনি বাংলাদেশ। দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালকে নিয়ে গত প্রায় দুই বছরে আলোচনা যা হয়েছে, তা মাঠের বাইরের কাণ্ডকীর্তির জন্য। মাঠের মানুষ তামিমের আসল কাজ ব্যাট হাতে, সেটি ভুলে যেতে বসেছে সবাই। বিপিএলে আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) সিলেটে দেখা গেল পুরোনো তামিমের ঝলক। অধিনায়কের ব্যাটে চড়ে ফরচুন বরিশালও তুলে নিয়েছে দুরন্ত জয়। দুর্বার রাজশাহীকে হারিয়েছে সাত উইকেটে।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে ২০ ওভারে চার উইকেটে ১৬৮ রান করে রাজশাহী। জবাবে ১৭.৩ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রান তোলে বরিশাল। নোঙর ফেলে জয়ের বন্দরে। তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৮৬ রানের ঝলমলে ইনিংস।
রান তাড়ায় ১২ রানে প্রথম উইকেট হারায় বরিশাল। ৯ বলে তিন রান করে ওপেনার প্রীতম কুমার বোল্ড হন মোহর শেখের ডেলিভারিতে। ওয়ানডাউনে নামা কাইল মায়ার্স ছোট ইনিংস খেললেও এনে দেন রানের গতি। ১১ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ২৪ রান আসে মায়ার্সের ব্যাট থেকে। তাকেও বোল্ড করেন মোহর।
হাসেনি তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট। ১৪ বলে ১৩ রানে জিসান আলমের শিকার হন হৃদয়। তবে, এক প্রান্ত আগলে রাখেন তামিম। বরিশাল অধিনায়ক রান তোলেন ঝড়ো গতিতে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৪৮ বলে ৮৬ রানে। ১৭৯.১৬ স্ট্রাইক রেটে তামিম ইনিংস সাজান ১১টি চার ও তিনটি ছয়ের মারে। মুশফিকুর রহিম ভালো সঙ্গ দেন তাকে। মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ২৪ বলে অপরাজিত ৩৪ রান।
এদিকে, আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতে খুব একটা বড় জুটি করতে পারেনি রাজশাহী। মোহাম্মদ হারিসের ইনিংস থামে ১৬ বলে ২২ রান তুলে। তাকে বোল্ড করেন তানভীর ইসলাম। আরেক ওপেনার জিসান আলমের ইনিংসটা বেশ আশা জাগানিয়া ছিল। ২৭ বলে সমান তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৩৮ রান আসে জিসানের ব্যাট থেকে। তাকে প্রীতম কুমারের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান ফাহিম আশরাফ।
রাজশাহী অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৩৯ রান করলেও খেলেন ৩৫ বল। শাহীন আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শেষ দিকে ইয়াসির আলী রাব্বি ব্যাটে ঝড় তোলেন। ২৩ বলে দুটি চার ও তিন ছক্কায় ৩৭ রান করলে রাজশাহীর রানের গতি বাড়ে। শেষ পর্যন্ত দলটি তোলে ১৬৮ রানের মাঝারি সংগ্রহ।
বরিশালের পক্ষে চার ওভারে ২০ রান দিয়ে দুই উইকেট পান শাহিন আফ্রিদি। একটি করে উইকেট নেন তানভীর ও ফাহিম, দুজনই দেন ২৭ রান।