ঢাকাকে হতাশায় ডুবিয়ে রংপুরের পাঁচে পাঁচ
বিপিএলের চলতি আসর শুরুর আগে বেশ আলোচনায় ছিল ঢাকা ক্যাপিটালস। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক সুপারস্টার শাকিব খান। তবে, মাঠের বাইরে সরব ঢাকা পারফরম্যান্সে নিষ্প্রভ। ঢাকা পর্বের পর সিলেটেও ছন্দ খুঁজে পাচ্ছে না দলটি। হেরেছে টানা চার ম্যাচে। আর তাদের হারিয়েই টানা পঞ্চম জয় তুলে নিল রংপুর রাইডার্স।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রংপুরের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। মাত্র ১৬.৩ ওভার ব্যাটিং করতে পারে তারা। সহজ লক্ষ্য তাড়ায় রংপুর ৭ উইকেট হাতে রেখে ১৩.২ ওভারে জয় নিশ্চিত করে। অপ্রতিরোধ্য রংপুরের এটি টানা পঞ্চম জয়।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে রংপুরকে বেগ পেতে হয়নি কোনও। গতবারের রানার্স আপদের হয়ে অ্যালেক্স হেলস সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। এছাড়া খুশদিল শাহ ১৩ বলে ২৭ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার বোলারদের মধ্যে মুস্তাফিজুর রহমান, আলাউদ্দিন বাবু ও মোসাদ্দেক হোসেন প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে, ব্যাটিংয়ে শুরুটা অবশ্য বেশ ঝড়ো গতিতে শুরু করে ঢাকা। ৩.১ ওভারে ওপেনিং জুটিতে আসে ২৮ রান। ১২ বলে ১৪ রান করে হাবিবুর রহমাব বিদায় নেন আকিব জাভেদের বলে বোল্ড হয়ে। আরেক ওপেনার জেসন রয় ১২ বলে ১৮ করে ভয়ংকর হওয়ার ইঙ্গিত দিলে তাকে বোল্ড করেন শেখ মেহেদি। তানজিদ তামিমও সাজঘরে ফেরেন ইফতিখার আহমেদের বলে বোল্ড হয়ে। তানজিদের ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে ২০ রান।
এরপর মিডল অর্ডারে শুরু হয় আসা যাওয়ার মিছিল। চলতি বিপিএলে প্রথমবার একাদশে সুযোগ পেয়ে ব্যর্থ হন সাব্বির রহমান। সাত বলে মোটে তিন রান করেন তিনি। লিটন দাসের ব্যাটও হাসেনি। থামে ১৩ বলে ৯ রানে। এবারের আসরেই ঝড়ো সেঞ্চুরি করা ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা হতাশ করেন এদিন। খুশদিল শাহর মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ক্যাচ তুলে দেন ইফতিখারের হাতে।
মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার রেশ বজায় থাকে শেষ দিকেও। কোনোমতে দলের সংগ্রহ শতরান পার করায় লোয়ার অর্ডার। আলাউদ্দিব বাবু ১৬ বলে ১৬ রান করে বড় লজ্জার হাত থেকে বাঁচান ঢাকাকে। রংপুরের পক্ষে নাহিদ রানা তিনটি এবং খুশদিল ও জাভেদ দুটি করে উইকেট নেন।