বিসিএসে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা
আইসিটি বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল (আইবিপিসি) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সদস্যদের অংশগ্রহণে ‘এলসি প্রসিডিউর অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ফর এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট অপারেশন’ শীর্ষক দিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
গতকাল শনিবার রাজধানীর ধানমণ্ডির বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে আয়োজিত কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিসিএস মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূইয়া। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের জন্য লেটার অব ক্রেডিট বা এলসি এবং সাপ্লাই চেইন ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমাদের মধ্যে অনেক ব্যবসায়ী রয়েছেন যাঁরা এই কাজগুলো তৃতীয় পক্ষ দিয়ে করে থাকেন। কিন্তু নিজে যদি আমদানি এবং রপ্তানির ধাপগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে পারেন, তাহলে পরবর্তীতে নিজেই আমদানি এবং রপ্তানিতে ভূমিকা রাখতে পারবেন। বিসিএস সদস্যদের দক্ষতা বাড়াতে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। চলতি বছর আমাদের এই ধরনের আরও কয়েকটি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করবে।’
প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার। তিনি বলেন, ‘লেটার অব ক্রেডিটের বিষয়ে বিসিএস এই প্রথম কর্মশালার আয়োজন করেছে। আমদানি নীতিতে কিছু কিছু প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে কাস্টমস বিভাগের সংশয় রয়েছে। বাজেট ঘোষণার পর আমরা এই বিষয়গুলো নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং কাস্টমস এর সঙ্গে আলোচনা করব। এবার আমরা আমাদের সদস্যদের মধ্য থেকেই আমাদের প্রশিক্ষক নির্বাচন করেছি। তিনি সবচেয়ে ভালো বুঝবেন আমাদের প্রযুক্তি ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন। সাথে সাথে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপককেও প্রশিক্ষক হিসেবে আমন্ত্রণ করেছি। আমি আশা করছি, এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে বিসিএস সদস্যরা তাঁদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন।’
কর্মশালায় প্রথম পর্বে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফ্যাসিলিটেটর এবং এফবিসিসিআই ও বিসিএস সদস্য মো. হাবিবুর রহমান। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের আমদানি-রপ্তানির সংজ্ঞা, ট্রানজেকশন গেটওয়ে, আমদানি এবং রপ্তানি সংক্রান্ত আইন, লেটার অব ক্রেডিটের সংজ্ঞা, পক্ষ, ব্যাংকিং নীতিমালা, প্রয়োজনীয় দলিলাদি, এলসির প্রকারভেদ এবং ইনকোটার্মস সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করেন।
দ্বিতীয় পর্বে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের চেয়ারম্যান এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. সুবোধ দেবনাথ। তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের সাপ্লাই চেইন এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত বিষয়গুলো নিয়ে একটি সেশন পরিচালনা করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব এবং বিশ্লেষণ করেন।
দিনব্যাপী কর্মশালা শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ প্রদান করা হয়।