পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলো থাইল্যান্ডের ফুকেট দ্বীপ
পর্যটকদের জন্য থাইল্যান্ডের দর্শনীয় দ্বীপ ফুকেট ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে সেখানকার দর্শনীয় স্থানগুলোতে এরই মধ্যে পদচারণা করেছেন কোভিড টিকা নেওয়া কয়েকশ বিদেশি পর্যটক।
কোভিডে মুখ থুবড়ে পড়া পর্যটন শিল্পকে আবার চাঙ্গা করার জন্য পরিকল্পিত পাইলট প্রোগ্রামের আওতায় পর্যটকেরা সেখানে গেছেন। খবর বিবিসির।
‘ফুকেট স্যান্ডবক্স’ নামের একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার মূলত মধ্যপ্রাচ্যের ২৫০ জন পর্যটকের চারটি ফ্লাইটে থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এই পরিকল্পনার আওতায় টিকা নেওয়া পর্যটকদের এখন আর সেখানে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না। তারা অবাধেই দ্বীপটিতে ঘুরে বেড়াতে পারবেন।
১৪ দিন পর এই পর্যটকদের তিনটি করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে এবং ফল নেগেটিভ হলে তারা দেশের যে কোনোখানেই ভ্রমণ করতে পারবেন।
‘ফুকেট স্যান্ডবক্স’ প্রকল্প যদি সফল হয়, তবে অক্টোবরে দেশটি অন্যান্য দ্বীপপুঞ্জে এই প্রকল্প চালু করবে। আশা করা হচ্ছে, এই প্রকল্পটির মাধ্যমে আগামী তিন মাসে ২৭৮ মিলিয়ন ডলার আয় করতে পারবে থাই সরকার।
আবুধাবি থেকে ফুকেটে ঘুরতে যাওয়া এক ব্রিটিশ পর্যটক বলেন, ‘আমি এখানে আসতে পেরে খুব খুশি। এখানে থাকার চেয়ে ভালো আর কী হতে পারে?’
থাই সরকার জানিয়েছে, ফুকেট দ্বীপ উন্মুক্ত করে দেওয়ার প্রথম দিনেই সেখানে প্রত্যাশিত পর্যটক সমাগমের আশা করা হচ্ছে। ইসরায়েল, আবুধাবি, কাতার এবং সিঙ্গাপুর থেকে ফ্লাইট চালু হয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর আগে প্রতিবছর এই ফুকেট দর্শন করতে আসত লাখ লাখ মানুষ।
এখন দ্বীপটি আবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার পর থাইল্যান্ডের ভেঙে পড়া অর্থনীতির পালে হাওয়া লাগবে বলেই আশায় আছে সরকার এবং পর্যটন শিল্প।