অক্সফাম ইন্ডিয়ার কার্যালয়ে সিবিআইয়ের তল্লাশি, মামলা
অক্সফাম ইন্ডিয়া এবং এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দেশটির সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই)। মামলায় দাতব্য সংস্থাটির বিরুদ্ধে ভারতের বিদেশি তহবিল গ্রহণের বিধি-বিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেসরকারি সংস্থাটির কার্যালয়ে তল্লাশি চালানো হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৯ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। খবর এনডিটিভির।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে অক্সফাম ইন্ডিয়া নির্ধারিত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পরিবর্তে বিদেশি অনুদানের অন্য অ্যাকাউন্টে প্রায় দেড় কোটি রুপি গ্রহণ করেছে। অক্সফাম ইন্ডিয়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চকে (সিপিআর) ১২ লাখ ৭১ হাজার রুপি প্রদান করেছে, যাতে বিদেশি অনুদান আইন এফসিআরএ-২০১০ এর বিধান লঙ্ঘন হয়েছে।
সিবিআই আরও জানায়, তারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে কাজ করেছে। গত বছরের জানুয়ারিতে অক্সফাম ইন্ডিয়ার বিদেশি অনুদান গ্রহণের (এফসিআরএ) লাইসেন্স স্থগিত করেছিল মন্ত্রণালয়।
সিবিডিটির আয়কর সমীক্ষার কিছু ইমেইল পাওয়া গেছে, যেখানে দেখা যায় অক্সফাম ইন্ডিয়া বিদেশি সরকার ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এফসিআরএ লাইসেন্স পুনরায় সচলের জন্য ভারত সরকারকে চাপ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। অক্সফাম ইন্ডিয়ার বহুজাতিক বিদেশি সংস্থাগুলোকে তাদের পক্ষে হস্তক্ষেপ করার জন্য অনুরোধের সুযোগ রয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, অক্সফাম ইন্ডিয়া অন্যান্য এসোসিয়েশন বা লাভজনক সংস্থায় তহবিল স্থানান্তরের মাধ্যমে এফসিআরএকে এড়িয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সিবিআই জানায়, তারা গত বছর তল্লাশি অভিযানের সময় অক্সফাম ইন্ডিয়ার কার্যালয় থেকে বেশ কয়েকটি ইমেইল জব্দ করেছে।
অক্সফাম ইন্ডিয়া হলো অক্সফামের বৈশ্বিক কনফেডারেশনের একটি অংশ, যেটি দারিদ্র্য, বৈষম্য, লিঙ্গ সমতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয় নিয়ে কাজ করে। বেসরকারি এই সংস্থাটি সব অভিযোগ অস্বীকার করে তারা প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে বলে জানিয়েছে।
অক্সফাম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে সিবিআই এমন একসময়ে মামলাটি করল, যখন বেশ কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা তাদের বিদেশি তহবিল ও কার্যকলাপের জন্য সরকারের পদক্ষেপ ও তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে। সরকার বলেছে, যারা বিদেশি তহবিলের অপব্যবহার করে বা আইনের ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে প্রশাসন। তবে ভিন্নমতকে হয়রানি ও বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছে বিরোধীদলগুলো।