আফ্রিকায় আরেকটি সামরিক ঘাঁটি বানাতে চায় চীন?
আফ্রিকার আটলান্টিক বা ভারত মহাসাগরের উপকূলে চীন ঘাঁটি তৈরি করতে পারে—যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে আসছে বেইজিং। তবে পর্যবেক্ষকেরা বলছেন—জিবুতিতে প্রথম বিদেশি ঘাঁটি বানানোর সময়ও বিষয়টি অস্বীকার করেছিল চীন।
সাউথ চায়না মর্নিং পেস্ট (এসসিএমপি) জানিয়েছে, এরই মধ্যে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন জাহাজ কোম্পানিগুলো আফ্রিকার আটলান্টিক উপকূলে অ্যাঙ্গোলা, নাইজেরিয়া, নামিবিয়া এবং নিরক্ষীয় গিনির মতো দেশগুলোর সব বড় বন্দরগুলো তৈরি, অর্থায়ন অথবা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করছে।
ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল ডিফেন্স ইউনিভার্সিটির আফ্রিকা সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের গবেষক পল নান্টুল্যার মতে, মহাদেশের (আফ্রিকা) পূর্ব দিকে, ভারত মহাসাগরের চারটি বন্দরে বড় বড় চীনা সামরিক জাহাজ নোঙর করতে সক্ষম হবে।
এগুলো হলো—কেনিয়ার মোম্বাসা, তানজানিয়ার বন্দর নগর দার এস সালাম, সেশেলসের ভিক্টোরিয়া এবং লোহিত সাগরের প্রবেশদ্বারের কাছে জিবুতির চীনা ঘাঁটি ডোরালেহ।
নান্টুল্যা বলেন, চীনের জিবুতি ঘাঁটিতে স্থায়ীভাবে দুই হাজার সৈন্য মোতায়েন রয়েছে। সেখান থেকে উড়োজাহাজবাহী রণতরী ব্যবহার করে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের বাইরেও হামলা চালানোর শক্তি অর্জন করেছে বেইজিং। এ গবেষক আরও বলেন, আফ্রিকায় চীনের ১০ হাজারেরও বেশি সংস্থা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় দুই-তিন হাজার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। মহাদেশটিতে ক্রমবর্ধমান চীনা বিনিয়োগ এবং সামরিক সহযোগিতা চুক্তির মাধ্যমে চীন আগামী সাত থেকে ১৫ বছরের মধ্যে সেখানে আরও ঘাঁটি স্থাপন করতে পারে।