আল-আকসায় আহত ফিলিস্তিনি যুবক কোমায়
জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে গত শুক্রবার ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে ২১ বছর বয়সী এক ফিলিস্তিনির। ওই যুবকের পরিবার বলছে, বর্তমানে তিনি কোমায় আছেন।
ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার শিকার ওয়ালিদ আল-শরিফ বর্তমানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো একটি স্পঞ্জ-টিপড বুলেট ওয়ালিদ আল-শরিফের মাথায় অথবা ঘাড়ে বিদ্ধ হয়।
তবে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি, জেরুজালেমের ওল্ড সিটির বাসিন্দা ওয়ালিদ আল-শরিফ তাদের দিকে পাথর ছুড়তে গিয়ে পড়ে যান। এ সময় মাথায় আঘাত পেয়েছেন তিনি।
ওই দিন অবশ্য ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে আল-আকসায় ৫৭ জন আহত হয়। ওয়ালিদ তাদেরই একজন। ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্টও একই তথ্য দিয়েছে।
ওয়ালিদের ভাই জানিয়েছেন, তাঁর ভাইয়ের অবস্থা রাতে খুব খারাপের দিকে গেছে। তিনি বলেন, ‘সে (ওয়ালিদ) কোমায় আছে। তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে। মাথার খুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চিকিৎসকরা তাঁদের সাধ্যমতো সব করেছেন।’
তিনি আরো বলেছেন, ‘আমরা শুধু অপেক্ষা করছি। কেবল আল্লাহ তাঁকে সাহায্য করতে পারেন।’
এদিকে ইসরায়েলি পার্লামেন্টের সদস্য আহমাদ তিবি হাসপাতালে ওয়ালিদ আল-শরিফকে দেখতে গিয়েছেন। সেখানে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, শরিফ মস্তিষ্কে বড় আঘাত পেয়েছেন এবং তাঁর অবস্থা গুরুতর।