পূর্ব জেরুজালেমে বন্দুকধারীর গুলিতে ৭ জন নিহত
পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ভয়াবহ অভিযানের একদিন পর বাড়তে থাকা সহিংসতায় গতকাল শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের ইসরায়েলি বসতিতে অবস্থিত একটি ধর্মীয় উপাসনালয়ের কাছে এক বন্দুকধারীর গুলিতে কমপক্ষে সাতজন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েলের জরুরি বিভাগ জানিয়েছে, এই ঘটনায় ১০ জন আহত হয়েছে যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। অন্যদিকে বন্দুকধারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয় বলে জানা গেছে।
নেভে ইয়াকভ এলাকায় অবৈধ বসতি এলাকার ঘটনাস্থল থেকে আলজাজিরার জেমস বেস জানান, ‘ঘটনাটা এ রকম, একটি প্রাইভেট কার হঠাৎ উপাসনালয়টির সামনে চলে আসে, গাড়ি থেকে একজন বন্দুকধারী বের হয়েই গুলি করতে শুরু করে।’
বেস বলেন, ‘এ ঘটনায় মারা গেছেন সাতজন আর পুলিশ জানিয়েছে সন্দেহভাজনের আগে থেকে কোনো নিরাপত্তা রেকর্ড ছিল না।’
তাৎক্ষনিকভাবে এ ঘটনার দায়দায়িত্ব কেউ স্বীকার করেনি। জরুরি বিভাগের হিসাবে আহত হয়েছেন ১০ জন যাদের মধ্যে ৭০ বছরের বৃদ্ধা ও ১৪ বছরের এক কিশোর রয়েছে।
টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায় ইহুদি উপাসনালয়ের বাইয়ে বেশ কয়েকজন লোক আহত অবস্থায় শুয়ে আছেন আর জরুরি বিভাগের লোকজন ব্যস্ত হয়ে ছোটাছুটি করছে।
উপাসনালয়টির কাছে বসবাসরত ১৮ বছরের শিক্ষার্থী মাটানেল আলমালেম বলেন, ‘আমি অনেকগুলো গুলি ছোড়ার শব্দ শুনতে পেয়েছি।’
পুলিশের এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, জেরুজালেমে একটি উপাসনালয়ে সন্ত্রাসি হামলা হয়েছে। এ সময় বন্দুকধারীকে হত্যা করা হয়েছে। পরে পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন হলেন ২১ বছর বয়সী এক যুবক যার বাড়ি পূর্ব জেরুজালেমে।
অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি সেনাদের ভয়াবহ হামলার পরদিন এই নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটলো। বৃহস্পতিবার জেনিনের ওই হামলায় একজন বয়স্কা নারীসহ নয় জনকে হত্যা করা হয়। এছাড়া সেদিন জেরুজালেমের উত্তরে আল-রাম শহরে ইসরায়েলি বাহিনী ২২ বছরের একজন ফিলিস্তিনি যুবককে গুলি করে হত্যা করে।