এরদোয়ানের দলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ
তুরস্কের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে কে বিজয়ী হচ্ছেন, এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শেষ হচ্ছে না। ভোট গণনার প্রথম দিকে এগিয়ে ছিলেন দুই দশক ধরে দেশটির ক্ষমতায় থাকা জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তবে, ভোট গণনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যেতে থাকে পটভূমি। এরপরেও এগিয়ে রয়েছেন এরদোয়ান। এগিয়ে থাকলেও মোট ভোটের ৫০ শতাংশ না পাওয়ায় এখনও ঝুলে রয়েছে তাঁর ভাগ্য। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দ্বিতীয় ধাপে গড়াচ্ছে এটা এক প্রকার নিশ্চিত।
এদিকে, ভোট গণনায় ও ফলাফল প্রকাশে এরদোয়ানের রাজনৈতিক দল একে পার্টি হস্তক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) কেমাল কিলিকদারোগলু। একইসঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে জয়ী হওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ছয় দলীয় জোটের এই শীর্ষ নেতা। কিলিকদারোগলু বলেন, ‘এরদোয়ানের দল গণনা এবং ফলাফলের প্রতিবেদন তৈরিতে হস্তক্ষেপ করেছে।’ এ সময় নিজের সমর্থকদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানান তিনি। খবর রয়টার্সের।
এর আগে, গতকাল রোববার তুরস্কের স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোট শুরু হয়, যা শেষ হয় বিকেল ৫টায়। এরপরে শুরু হয় ভোট গণনা। পরে, শুরু হয় প্রাথমিক ফলাফল ঘোষণা। এর জন্য দেশটির একটি আইনও পরিবর্তন করে তুরস্কের নির্বাচন বোর্ড।
তুরস্কের স্থানীয় গণমাধ্যম ডেইলি সাবাহয়ের তথ্য মতে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়েছে মোট ভোটারের ৮৭ দশমিক ২১ শতাংশ। অর্থাৎ, ভোট দিয়েছেন ছয় কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৬৫১ জন ভোটার। ইতোমধ্যে ৯৯ দশমিক ৩৮ শতাংশ ব্যালটের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ দশমিক ৪২ শতাংশ বা দুই কোটি ৬৮ লাখ ৫৯ হাজার ৩১৩ ভোট পেয়েছেন এরদোয়ান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিকদারোগলু পেয়েছেন দুই কোটি ৪৪ লাখ ৩০ হাজার ৬১৮ বা ৪৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ ভোট। আর নির্বাচন থেকে সরে যাওয়া মুহেরেম পেয়েছেন দুই লাখ ৩৫ হাজার ৬১৮ বা শূন্য দশমিক ৪৩ শতাংশ ভোট। আরেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সিনান ওয়াগান পেয়েছেন পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ বা ২৮ লাখ ২৪ হাজার ১১৮ ভোট।
এদিকে, পার্লামেন্ট নির্বাচনে মোট ভোট পড়েছে ছয় কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৬৫১ বা ৮৭ দশমিক তিন শতাংশ ভোট। ইতোমধ্যে ৯৯ দশমিক ২৭ শতাংশ ব্যালটের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এতেও এগিয়ে আছে এরদোয়ানের পিপলস অ্যালায়েন্স। এই জোটটি পেয়েছে ৩২১টি আসন, যার মধ্যে শুধুমাত্র একে পার্টি পেয়েছে ২৬৬টি আসন। আর কিলিকদারোগলুর ছয় দলীয় জোট ন্যাশন্স অ্যালায়েন্স পেয়েছে ২১৩টি আসন, যার মধ্যে সিএইচপি পেয়েছে ১৬৯টি। আর অন্যান্য দল পেয়েছে ৬৬টি আসন।