করাচিতে প্রতি লিটার দুধের দাম ১৪০ রুপি ও দই ২২০
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তানের করাচির জনগণ। গত সোমবার দুধ ও দুগ্ধজাত খাতের নীতিনির্ধারকেরা তরল দুধের দাম প্রতি লিটারে বাড়িয়েছেন ১০ রুপি। আর দইয়ের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২০ রুপি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মধ্য দিয়ে চলতি বছর দ্বিতীয়বারের মতো দুধ ও দইয়ের দাম বাড়ানো হলো।
এর আগে মার্চে প্রতি লিটার দুধের দাম ১২০ রুপি থেকে বাড়িয়ে ১৩০ রুপি করা হয়। আর তাতে দইয়ের দামের ওপর প্রভাব পড়ে। দইয়ের দাম কেজিপ্রতি ২০ রুপি বাড়িয়ে ১৮০ থেকে ২০০ রুপি করা হয় তখন।
খুচরা দুধ বিক্রেতা সমিতির মুখপাত্র ওয়াহিদ গাদ্দি জানান, তরল দুধের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে লিটারপ্রতি ১৪০ রুপি। আর দইয়ের নতুন দাম প্রতি কেজি ২২০ রুপি।
খুচরা বিক্রেতাদের সংগঠন যখন দুধের দাম বাড়ানোর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, তখন কীভাবে পাইকারি বিক্রেতারা দাম বাড়ালেন, সে ব্যাপারে ওয়াহিদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। জবাবে তিনি বলেন, পাইকারি বিক্রেতারা দুধের দাম লিটারে ৪০ রুপি বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। দুই মাস ধরে তারই প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন খুচরা বিক্রেতারা। আর পাইকারি বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে ফেললেন, খুচরা বিক্রেতাদের দাম বাড়ানো ছাড়া আর উপায় থাকে না।
ওয়াহিদের অভিযোগ, সত্যিকার অর্থে যারা দুধের দাম বাড়ার জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না নিয়ে খুচরা বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রচুর জরিমানা আরোপ করা হচ্ছে।
ওয়াহিদ আরও জানান, ২০১৫ সালের মার্চে দুধের দাম লিটারপ্রতি ৯৪ রুপি নির্ধারণ করা হয়েছিল। তার পর থেকে সরকারি কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। তিনি বলেন, পাইকারি বিক্রেতারা খুচরা বিক্রেতাদের দুই মাস পর আবারও দাম বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন। দুধের দাম প্রতি লিটারে ৩০ রুপি বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন তারা।