ক্রিমিয়া-রাশিয়া সংযোগ সেতু বিস্ফোরণে নিহত ৩ : রাশিয়া
উপদ্বীপ ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগের একমাত্র সেতু বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে ওই সেতু দিয়ে চলাচলকারী তেলবাহী একটি ট্রেনে ভয়াবহ আগুন লাগে। ধসে পড়ে সেতুর একাংশ। স্থানীয় সময় আজ শনিবার সকাল ৬টায় এ ঘটনা ঘটে। রাশিয়া বলছে, বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছে। খবর রয়টার্স ও বিবিসির।
রাশিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী কমিটির বরাত দিয়ে বিভিন্ন রুশ গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত ওই সেতুর নাম ‘কার্চ ব্রিজ’। শনিবার সকালে সেতুর গাড়ি চলাচলকারী লেনে একটি ট্রাকে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে সেতুতে থাকা একটি তেলবাহী ট্রেনের সাতটি ট্যাংকারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে ধসে পড়ে গাড়ি চলার দুটি লেনও। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন।
সেতুতে বিস্ফোরণের পর এর একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে সেতুতে আগুন জ্বলতে এবং কিছু অংশ পানির মধ্যে ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। সেতুর ধ্বংস হওয়া অংশের একটি ছবি টুইটারে পোস্ট করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াকও।
গত আগস্ট মাসে ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর একজন সিনিয়র কমান্ডার বলেছিলেন কার্চ সেতুটি তাদের ‘বৈধ’ লক্ষ্যবস্তু। মেজর জেনারেল দিমিত্রো মার্চেঙ্কো আরবিসি-ইউক্রেনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘রাশিয়ার ভেতর থেকে সৈন্য আনা ও রসদ সরবরাহের সুযোগ থেকে তাদের বঞ্চিত করতে এটা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি কাজ।’
২০১৮ সালে খুলে দেওয়ার পর আরআইএ নভোস্তির রিপোর্ট অনুযায়ী, কার্চ সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৪০ হাজার গাড়ি পারাপার হয়। সেতুটি দিয়ে বছরে প্রায় ১৪ মিলিয়ন যাত্রী এবং ১৩ মিলিয়ন টন কার্গো পরিবহণ হয়। সেতুটি খুলে দেওয়ার পর এর নির্মাণ কাজকে যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ বলেছিল। সে সময় ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলেছিল, ‘কার্চ সেতুর নির্মাণ কাজ আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি রাশিয়ার অব্যাহত অবজ্ঞারই ধারাবাহিকতা।’
টুইটারে পোদোলিয়াক লেখেন, ‘ক্রিমিয়া, এই সেতু, এটা কেবল শুরু। অবৈধ সবকিছু অবশ্যই ধ্বংস করা হবে। চুরি হয়ে যাওয়া সবকিছু ইউক্রেনে ফিরিয়ে আনা হবে। রাশিয়ার দখল করা সবকিছু মুক্ত করা হবে।’