চীনের চুক্তি প্রত্যাখ্যান : প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশগুলোকে সমর্থনের আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের
চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি প্রত্যাখ্যান করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশগুলোকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মার্কিন সরকার।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বেইজিংয়ের নিজস্ব পদক্ষেপগুলোই প্রমাণ করে যে, তাদের প্রস্তাবগুলো কতটা ‘অস্বচ্ছ’ ছিল। সংবাদমাধ্যম দ্য স্টার এ খবর জানিয়েছে।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোর এ প্রত্যাখ্যান বেইজিংয়ের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক ধাক্কা। ১০টি প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র গত সোমবার চীনের ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে, যা দেশগুলোকে চীনের দিকে টেনে আনতে সাহায্য করতো।
এ প্রত্যাখ্যানের পর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস আবারও অস্ট্রেলিয়ার মতো এ চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে করেছেন।
চীনের সঙ্গে মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সুরে সুর মিলিয়ে প্রাইস বলেছেন, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলো তাদের নিজস্ব সার্বভৌম সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের অংশীদারদের সঙ্গে এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এ সময় প্রাইস ফিজি, সামোয়া ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সাংবাদিকদের উত্থাপিত উদ্বেগের বিষয় তুলে ধরেন। এ সাংবাদিকেরা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সফরটির বিষয়ে কাজ করেছিলেন এবং ওই সফরে সাংবাদিকদের প্রশ্ন করারও অনুমতি ছিল না।
প্রাইস আরও বলেন, ‘যখন আমরা এ অস্বচ্ছ চুক্তিগুলো সম্পর্কে কথা বলব, আমি মনে করি সাংবাদিকদের কেবল এ চুক্তিগুলোকে অস্পষ্ট করার জন্য চীনের প্রচেষ্টার দিকে নজর দেওয়া উচিত।’
প্রাইস জানান, বেইজিং এতদূর যাওয়ার চেষ্টা করেছিল যে, ওই অঞ্চলের কর্মকর্তাদের তাদের নিজ দেশে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতেও তারা বাধা দিতে চেয়েছে।
চীন এমন একটি চুক্তির প্রস্তাব করেছিল—যাতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের পুলিশদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ, সংবেদনশীল সামুদ্রিক মানচিত্র ম্যাপ তৈরি এবং প্রাকৃতিক সম্পদে আরও বেশি চীনের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হবে। আর এর বিনিময়ে, বেইজিং মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা এবং চীনের বাজারে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাবনার প্রস্তাব দেবে।
এদিকে, সম্প্রতি এক চিঠিতে মাইক্রোনেশিয়া ফেডারেটেড স্টেটস-এর প্রেসিডেন্ট ডেভিড পানুয়েলো তাঁর রাজনৈতিক সহকর্মীদের সতর্ক করেছেন যে, চীনের প্রস্তাবটি ‘সরকারে চীনের প্রভাব নিশ্চিত করবে’ এবং প্রধান শিল্পগুলোর ‘অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ’ চীনের হাতে চলে যাবে।