জন্মহার বাড়াতে চীনের অভিনব উদ্যোগ, ৩০ দিনের ছুটি পাবে নবদম্পতিরা
চীনে ৬০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জনসংখ্যা কমেছে। এতেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ দেশটির শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে। এমনকি বিয়ের পরিমাণও দেশটিতে কমে গেছে। বিয়ে ও জন্মহার বাড়াতে একের পর এক পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। এবার সদ্য বিবাহ করা দম্পতিদের ৩০ দিনের ছুটির কথা জানিয়েছে দেশটির কয়েকটি প্রদেশের ঊর্ধ্বতনরা। খবর রয়টার্সের।
প্রতিবেদনে লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, চীনের বেশ কয়েকটি প্রাদেশিক সরকার বিয়ে ও জন্মহার বাড়াতে ৩০ দিনের ছুটি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ ছুটির জন্য অর্থ পাবে কর্মজীবীরা। আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) চীনের কমিনিউস্ট পার্টির মুখপাত্র পিপলস ডেইলি হেলথ সংবাদপত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্স বলছে, চীনে বিয়ের জন্য তিনদিনের পেইড ছুটি পায় কর্মজীবীরা। তবে, বিভিন্ন প্রাদেশিক সরকার চলতি মাস থেকে পেইড ছুটি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে।
পিপলস ডেইলি হেলথের তথ্যানুযায়ী, চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ গানসু ও কয়লা উৎপাদনকারী প্রদেশ শানসিতে বিয়ের জন্য কর্মজীবীরা ৩০ দিনের ছুটি পাবেন। আর সাংহাইয়ের বাসিন্দারা ১০ দিনের ছুটি পাবেন। তবে, সিচুয়ান প্রদেশের বাসিন্দারা আগের ছুটি অর্থাৎ তিনদিন করেই পাবেন।
এ বিষয়ে সাউথ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি অফ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইকোনমিক্সের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিন ইয়াং হাইয়াং বলেন, বিয়ের ছুটি বাড়ানো হল প্রজনন হার বাড়ানোর অন্যতম কার্যকরী উপায়। কিছু প্রদেশে ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
বিয়ে ও জন্মহার বাড়াতে আরও সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন এই অধ্যাপক। তার মতে, জন্মহার বাড়াতে পুরুষদের পিতৃত্বকালীন ছুটি ও বাড়ি ভাড়ায় ভতুর্কি দেওয়া উচিত।
রয়টার্স বলছে, ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো গত বছর চীনের জনসংখ্যা কমে যায়। গত বছর প্রতি হাজারে দেশটিতে জন্মহার ছিল ছয় দশমিক ৭৭ শতাংশ।
জনসংখ্যা কমাতে ১৯৭৯ সালে কঠোর এক সন্তান নীতি চালু করে চীন। এ নীতি ভঙ্গের কারণে অনেক পরিবার জরিমানার মুখে পড়ে, অনেকে চাকরি হারান, এমনকি জোরপূর্বক গর্ভপাতেরও শিকার হন। এক সন্তান নীতির ফলে অনেকে সন্তানই নিচ্ছিল না। একইসঙ্গে লেখাপড়া ও জীবনযাপনে খরচ বৃদ্ধির জন্য মানুষেরা সন্তান বিমুখ হয়ে পড়ে। এরপর থেকেই দেশটিতে জনসংখ্যা কমতে থাকে।