জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় পর্তুগালে বিক্ষোভ
পর্তুগালে আবাসন সংকট নতুন কিছু নয়। দেশটিতে হুড়মুড়িয়ে বাড়ছে বাড়ি ভাড়া। একইসঙ্গে বাড়ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামও। এর প্রভাব পড়ছে জীবনযাত্রায়। ইউরোপের দেশটিতে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে কয়েক গুণ। এর জেরে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমেছে দেশটির জনগণ। আজ রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ায় পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে বিক্ষোভ করেছে দেশটির কয়েক হাজার জনগণ। শনিবারের এই বিক্ষোভে উন্নত জীবনযাত্রার দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা।
পশ্চিম ইউরোপের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ পর্তুগাল। দেশটির সরকারি তথ্য মতে, সর্বশেষ বছরে পর্তুগালের ৫০ শতাংশ শ্রমিক প্রতি মাসে মাথাপিছু আয় করেছে এক হাজারেরও কম ইউরো। দেশটিতে মাসিক ন্যূনতম মজুরি ৭৬০ ইউরো।
২০২২ সালে দেশটিতে বাড়ির দাম বেড়েছে ১৮ দশমিক তিন শতাংশ, যা ছিল সর্বশেষ তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। একই বছরে বাড়ি ভাড়া বেড়েছে ৩৭ শতাংশ।
কম মজুরি ও অতিরিক্ত বাড়ি ভাড়ার জন্য লিসবন বিশ্বের তৃতীয় ব্যয়বহুল শহর। এই সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে দেশটির আট দশমিক তিন শতাংশের মূল্যস্ফীতি।
লিসবনে বিক্ষোভটির আয়োজন করে ‘ফেয়ার লাইফ’। এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন ২৬ বছর বয়সী ভিটর ডেভিড। তিনি বলেন, ‘বাড়তি খরচের জন্য আমি লিসবনে থাকতে পারছি না। আমার আশা, আমি একদিন লিসবনে ফিরব। তবে, আমাদের জীবন এমন একটি পর্যায়ে চলে গেছে যেখানে কোনো আশা নেই।’
ডেভিড আরও বলেন, ‘আমি ইউরোপের অন্য কোনো দেশে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে, নিজের দেশ ছেড়ে যাওয়া খুব কষ্টের।’
পর্তুগালের সরকারি তথ্য মতে, দেশটির ২০ শতাংশ নাগরিক বিদেশে থাকে। প্রতিবেদনে রয়টার্স আরও জানায়, বিক্ষোভকারীরা মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন। এমনকি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নির্ধারণ করে দিতে সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে বাড়ি ভাড়া কমাতে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে বলছে।