টিকা না নিলে মোবাইল বন্ধের হুমকি, কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড়
করোনার টিকা না নিলে জরিমানার পাশাপাশি মোবাইল ব্লক, সরকারি-বেসরকারি অফিস, রেস্টুরেন্ট ও শপিংমলে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং পরিবহণ সেবা পাবেন না বলে সরকার ঘোষণা দেওয়ার পর পাকিস্তানের টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়েছে।
পাকিস্তানের দুর্বল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করেছে করোনাভাইরাসে অতিসংক্রামক ডেলটা ধরন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশটির সরকার ব্যাপকহারে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা করলেও টিকা নিতে সাধারণ জনগণের আগ্রহ তেমন দেখা যায়নি।
কিন্তু সরকার ওই ঘোষণা দেওয়ার পর দেশটির কিছু কিছু এলাকায় টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের সারি এক কিলোমিটারের বেশি ছাড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। খবর রয়টার্সের।
দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা বলেছেন, সারিতে যারা দাঁড়িয়েছেন তাদের অনেকেই কোভিড-১৯ এর হুমকি বিবেচনায় নয়, বরং বিধিনিষেধের ভয়েই এসেছেন। টিকা নিতে সারিতে যারা দাঁড়িয়েছেন, স্বাস্থ্যকর্মীদের মন্তব্যের মিল পাওয়া গেছে তাদের কথাতেও।
করাচির দক্ষিণাঞ্চলের একটি কেন্দ্রে টিকার অপেক্ষা করছেন ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল রউফ। তিনি বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে করোনাকে ভয় পাই না। আমার বেতন বন্ধ হয়ে যাবে, আমাদের সিম বন্ধ হয়ে যাবে। এসব কিছুই কাজ করছে এখানে। যে কারণে আমি দ্বিতীয় ডোজ নিতে এসেছি।’
কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী পরিচালিত ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশনস সেন্টার (এনসিওসি) বলছে, দেশের ২২ কোটি মানুষের মধ্যে এখন পর্যন্ত মাত্র ছয় দশমিক সাত শতাংশের টিকাদান পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে।গত মাসে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা দেয়, করোনা টিকার সার্টিফিকেট ছাড়া কেউই সরকারি অফিস, স্কুল, রেস্তোরাঁ, পরিবহণ, শপিংমলে প্রবেশ এবং বিমানে ভ্রমণ করতে পারবেন না।
সরকারের এই ঘোষণার পরপরই দেশটিতে টিকা নিতে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়। এমনকি গত সপ্তাহে একদিনে প্রথমবারের মতো ১০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়ার রেকর্ডও হয় দেশটিতে।