নিষেধাজ্ঞা এড়িয়েই রাশিয়াকে সহায়তা করতে চায় চীন
সম্প্রতি চীনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রুশ নেতারা। যেখানে চীনের সহায়তার বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করে তাঁরা জানিয়েছেন—যুদ্ধ শুরুর আগে বেইজিংয়ের করা ‘সর্বতোভাবে সহায়তা’র প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন চায় মস্কো। তবে, সহায়তা বৃদ্ধি করতে চাইলেও যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে, এমন ক্ষেত্রে ঝুঁকি নেবে না বলে জানিয়েছে চীন।
নাম না প্রকাশের শর্তে একজন চীনা কর্মকর্তা দ্য ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, নতুন ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা দেওয়ার জন্য মস্কো ‘অন্তত দুবার’ বেইজিংকে চাপ দিয়েছে। ওই চীনা কর্মকর্তা একে ‘উদ্বেগজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন।
অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউক্রেন হামলার আগে যেসব চুক্তি হয়েছিল, সে অনুযায়ী রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখবে বেইজিং। কিন্তু ‘আর্থিক ও প্রযুক্তিগত খাতে’ সহায়তার ওপর মার্কিন ও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ খাতে রাশিয়াকে সহায়তা করতে পারবে না বলে জানিয়েছে চীন।
সম্প্রতি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন, চীনের এমন একজন নেতা জানিয়েছেন, বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ‘এ যুদ্ধে বেইজিং তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে অন্যায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করে চীন।’
চীনা ওই নেতা আরও বলেন, বৈঠকে চীনা নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, ‘বেইজিং রুশ প্রেসিডেন্টের অবস্থানের কথা গভীরভাবে অনুধাবন করছে, কিন্তু পরিস্থিতির কারণে চীন অনেক কিছুই করতে পারছে না। কারণ, দেশটিকে তার জনগণের বৃহত্তর স্বার্থ দেখেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়।’
চীনা ও মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারকে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও, যুদ্ধ যে চার মাসে গড়াবে তা চিন্তা করেনি বেইজিং। এ ছাড়া মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা এ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
তাই, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন না করে মিত্র রাশিয়াকে কতটুকু সহায়তা করা যায়, তার উপায় বের করতে নিজের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের দায়িত্ব দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।